আইরিশদের হার, সেমির ঘ্রাণ পাচ্ছে কিউইরা
নিজেদের কাজটা সঠিকভাবেই করল নিউজিল্যান্ড। শুক্রবার অ্যাডিলেড ওভালে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। এই জয়ে সেমিফাইনালের ঘ্রাণ পাচ্ছে কিউইরা।
রৌদ্যজ্জ্বল দিনে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। রান তাড়ায় আইরিশরা ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৫০ রান। এই হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে তাদের। ৫ ম্যাচে ৩ পয়েন্টে প্রথম গ্রুপ টেবিলে পাঁচে থেকে সুপার টুয়েলভ শেষ করল আয়ারল্যান্ড।
অপরদিকে, পাঁচ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে কিউইরা। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া তাদের সমান পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নেট রানরেটে বেশ এগিয়ে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। বলা যায়, সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।
ইংল্যান্ডের পুঁজিতে বড় অবদান ছিল কেন উইলিয়ামসনের। মারমুখী ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কিউই দলপতি। তার ৩৫ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৩ ছক্কার মার। এর আগে দলকে দারুণ শুরু উপহার দেন ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। এই যুগলের উদ্বোধনী জুটিতে দলের খাতায় যোগ হয় ৫২ রান।
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে অ্যালেনকে আউট করেন মার্ক অ্যাডায়ার। সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ করেন কিউই ওপেনার। আরেক ওপেনার ৩৩ বল খেললেও করেন ২৮ রান। তাকে শিকার বানান গ্যারেথ ডেলানি। হাফসেঞ্চুরিয়ান উইলিয়ামসনকে মাঠছাড়া করেন আলোচিত আইরিশ পেসার জশ লিটল।
শেষদিকে দলীয় সংগ্রহ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তোলার দায়িত্ব নেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল। ৯ বলে ১৭ রান করে থামেন ফিলিপস। তাকে থামান ডেলানি। উইকেটে অপরাজিত ছিলেন মিচেল। ২১ বলে ২ চারে ৩১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর বোলারদের কাঁধে চেপে অনায়াসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কিউইরা।
রান তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল আইরিশরা। দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবির্নির শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখী। ইনিংসের নবম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন স্যান্তনার। দলীয় ৬৮ এবং ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাজঘরে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক বালবির্নি। পরের ওভারে সোধির আঘাত। তিনি আউট করেন ৩৭ রান করা স্টার্লিংকে।
এরপর ফের স্যান্তনারের আঘাত। হ্যারি টেক্টরকে (২) নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান কিউই স্পিনার। টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আয়ারল্যান্ড। বাকিটা সময় লড়ে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে আইরিশরা। ফার্গুসন পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। স্যান্তনার, সোধি ও টিম সাউদি পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।
এসএন