বড় ব্যবধানে জিততে হবে অস্ট্রেলিয়াকে
সুপার টুয়েলভের প্রথম গ্রুপে জয়-পরাজয়ের সংখ্যায় সমান স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। ৫ ম্যাচ শেষে ৩ দলেরই পয়েন্ট ৫। পার্থক্য কেবল রান রেটে। এদিক থেকে এগিয়ে থাকায় টেবিলের শীর্ষে কিউইরা (২.২৩৩), দুইয়ে ইংলিশরা (০.৫৪৭) এবং তিনে অজিরা (-০.৩০৪)। তাই সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় অ্যাডিলেড ওভালে গড়াবে স্বাগতিকদের বাঁচা-মরার ম্যাচ। যা আফগানদের জন্য নিছক আনুষ্ঠানিকতা। মোহাম্মদ নবীদের দুটো ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টিতে। যে দুটো মাঠে গড়িয়েছে, সেগুলোতে হার ছিল তাদের নিয়তি। বিশ্বমঞ্চে এখন পর্যন্ত জয়শূন্য আফগানদের বিদায় ঘণ্টা বেজেছে আরও আগেই।
বিদায়ের প্রাক্কালে মরণকামড় দিতে চাইবে নবী-রশিদরা, এটা বলাই যায়। তাই সর্বোচ্চ সতর্ক অ্যারন ফিঞ্চ। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বলেন, ‘এমন কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যা আমাদের পুরো খেলাজুড়ে নজরে রাখতে হবে। আমরা যদি একটি ভালো অবস্থানে থাকি, তবে সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।’
আশার বিপরীতে হতাশার কথাও শুনিয়েছেন ফিঞ্চ। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ভুগছেন তিনি। তাই ম্যাচের আগ মুহূর্তে অস্বস্তি অনুভব করলে না খেলার বার্তা দিয়ে রেখেছেন ফিঞ্চ, ‘(খেলা, না খেলার) সম্ভাবনা ৭০-৩০। আমি খেললে যদি দলকে ১ শতাংশ আপস করতে হয়, তবে আমি খেলব না। হ্যামস্ট্রিং নিয়ে স্বস্তি বোধ না করলে আমি খেলব না।’
শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনায় ফিঞ্চের অনুপস্থিতি ব্যাটিংয়ে খুব বেশি চাপে রাখবে না অস্ট্রেলিয়াকে। কারণ তারকা ব্যাটারে ঠাসা তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ। এমনকি আফগানিস্তানের বিপক্ষে রয়েছে শতভাগ জয়ের রেকর্ড। টি-টোয়েন্টিতে কালই প্রথমবার দেখা হবে দু’দলের। একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছে কেবল ৩টি ওয়ানডে। সবগুলোতেই দাপুটে জয় ছিল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী।
সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও অ্যাডিলেড ওভালে রশিদ খানের বোলিং পরিসংখ্যান হতে পারে আফগানদের আত্মবিশ্বাসের রসদ। এই ভেন্যুতে অজিদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ২৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে রশিদ শিকার করেছে ৪৪ উইকেট। সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক রেট ১৬.৮ হলেও অ্যাডিলেডে তা ১৫.৫। রশিদসহ বাকি শিষ্যদের উপর আস্থা রাখছেন আফগানদের সহকারী কোচ রাইস আহমাদজাই।
বিদায়ের আগে একটি অঘটনের অপেক্ষায় আহমাদজাই, ‘অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা আমাদের জন্য সত্যিই সহজ নয়, কিন্তু আমরা এখানে তাদের কঠিন সময় দিতে এসেছি। আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া চাপে থাকবে কারণ তারা জিততে চায়। আর আমরা এখানে টুর্নামেন্ট শেষ করতে এসেছি।’
এসজি