সেমিফাইনালের লড়াইয়ে আছে বাংলাদেশও
পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিংয়ের কবলে পড়ে ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পরও সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে এখনো টিকে আছে বাংলাদেশ। তাদের এই সম্ভাবনা জেগে উঠেছে পাকিস্তানের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হারে। একইভাবে পাকিস্তানের সম্ভাবনাও জেগে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বৃষ্টি আইনে ৩৩ রানে পরাজিত করে পাকিস্তান। অথচ প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর পাকিস্তান অনেকটাই সেমিফাইনালের লড়াই থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার যে সম্ভাবনা জেগে উঠেছে তা কিন্তু 'যদি'র উপর নির্ভরশীল। 'বি' গ্রুপে ৬টি দলেরই ৪টি করে খেলা শেষ হয়েছে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা দুইয়ে আছে ৫ পয়েন্ট নিয়ে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দুই দলেরই পয়েন্ট ৪ করে। নেট রান রেটে পাকিস্তান তিনে ও বাংলাদেশ দুইয়ে। পরের দুটি অবস্থানে আছে জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান গ্রুপের শেষ ম্যাচে পরস্পরের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে ৬ নভেম্বর, অ্যাডিলেড ওভালে। এই ম্যাচে যে দল জিতবে তারা 'যদি'র উপর নির্ভর করে সেমিফাইনালে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকবে। তখন বিজয়ী দলের একটাই চাওয়া থাকবে নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হার। ভারত তাদের শেষ ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যদি তারা হেরে যায় আর দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ী হয় সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালের নতুন সমীকরণ তৈরি হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনলে উঠে যাবে ভারতের পয়েন্ট থাকবে ৬। আর পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মধ্যকার ম্যাচে যে দল জয়ী হবে তাদেরও পয়েন্ট থাকবে ৬। তখন এই দুই দলের নেট রান রেট বিবেচনা করা হবে। যে দলের নেট রান রেট ভালো থাকবে তারাই খেলবে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতলে নেট রান রেটে ভারত পিছিয়ে পড়বে। কারণ এখন তারা গ্রুপের শীর্ষে থাকলেও নেট রান রেটে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে। বর্তমানে ভারতের রান রেট +০.৭৩০ আর পাকিস্তানের নেট রান রেট +১.১১৭।
ভারত হেরে গেলে তাদের রান রেট আরও কমে যাবে। পক্ষান্তরে পাকিস্তান জিতলে তাদের নেট রান রেট আরও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের নেট রান রেট -১.২৭৬। ভারত হেরে গেলে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি নেট রান রেটও বাড়িয়ে রাখতে হবে।
এমপি/এসজি