দলে সবাই সেরা, ম্যাচ উইনার: বাবর

পাকিস্তানকে বড় বাঁচা বাঁচিয়ে দিলেন শাদাব খান। ব্যাট-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলকে পাইয়ে দিয়েছেন সহজ জয়। শাদাব চমকের পর বাবর আজম বললেন, আমার দলে সবাই সেরা এবং ম্যাচ উইনার।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সিডনিতে প্রোটিয়া পেসারদের তোপের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। ৬.৩ ওভারে মাত্র ৪৩ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে তারা। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন ইফতিখার ও শাদাব। দুজনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ইফতিখার ৩৫ বলে করেন ৫১ রান। শাদাব ছিলেন আরও মারমুখী। ২০ বলে হাফসেঞ্চুরির কোটা স্পর্শ করেন তিনি। আউট হন ২২ বল খেলে। তার ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ৪ ছক্কার মার।
পুরস্কার বিরতণী মঞ্চে অতিমানবীয় ইনিংসের ব্যাখ্যায় শাদাব বলেন, ‘আমি পিএসএলে এভাবে খেলেছি (ব্যাটিং করেছি)। কিন্তু এটি একটি বিশ্বকাপ ম্যাচ, তাই এটি আমার সেরা ইনিংস। আমি উপরের দিকে ব্যাটিং করতে পছন্দ করি, কিন্তু এটি পরিস্থিতি এবং দলের প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। তাই আমি যেকোনো পজিশনে ব্যাট করতে প্রস্তুত।’
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করামের জুটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাকিস্তানের জন্য। বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম ওভারেই দুই প্রোটিয়াকে আউট করে দলের জয়ের পথ আরও পরিষ্কার করেন শাদাব। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হওয়া এই পাকিস্তানি লেগস্পিনার বলেন, ‘পার্থের তুলনায় পিচটা একটু মন্থর ছিল। আমি স্টাম্পে বোলিং করার চেষ্টা করছি। তারই ফল পেয়েছি।’
একই মঞ্চে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ভাষ্য ছিল ঠিক এমন, ‘দল যেভাবে পারফর্ম করেছে তাতে খুব খুশি। দল শুধু আমার আর রিজওয়ানের উপর নির্ভর করে না। হারিস ম্যাচে গতি এনেছেন। আর শাদাব ও ইফতিখার যেভাবে ইনিংস শেষ করেছেন তা অবিশ্বাস্য। আমার কাছে সবাই সেরা খেলোয়াড়। সবাই ম্যাচ উইনার।’
বাবর যোগ করেন, ‘প্রথম দুই হার (ভারত ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে) আমাদের ক্ষতি করেছে, কিন্তু আমরা যেভাবে শেষ দুটো ম্যাচ খেলেছি... ক্রিকেট একটি মজার খেলা।’
এসজি
