বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টুকিটাকি
হাসানেই শেষ রোহিত
তাসকিনের বলে হাসান মাহমুদের হাতে জীবন পেয়ে রোহিত শর্মা বাঁচতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত সেই হাসানের হাতেই তার প্রাণ যায়। ইনিংসের তৃতীয় ও তাসকিনের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কায়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। সরাসরি চলে গিয়েছিল হাসান মাহমুদের হাতে। কিন্তু সহজ ক্যাচ তিনি ধরে রাখতে পারেননি। হাত ফসকে পড়ে যায়। তখন রোহিতের রান ১। জীবন পেয়ে তিনি ১ রান নেন। তাসকিনের ওভার শেষ হওয়ার পর চতুর্থ ওভার করতে আসেন হাসান মাহমুদ। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলেই তিনি রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কঠিন ক্যাচ ধরেন ইয়াসির আলী।
প্রথম ওভারে উইকেট শূন্য তাসকিন
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে বোলিং সূচনা করছেন তাসকিন। সেইসঙ্গে তিনি প্রথম ওভারেই দলকে উইকেট উপহার দিয়েছেন। কিন্তু আজ ভারতের বিপক্ষে তিনি সেই উপহার দিতে পারেননি। তবে উইকেট না পেলেও বোলিং করেন ক্ষুরধার। প্রথম ২ ওভারে দেন মাত্র ২ রান। তার এমন চমৎকার বোলিংয়ে অধিনায়ক সাকিব তাসকিনকে দিয়ে টানা ৩ ওভার বোলিং করান। সেই ওভারে তিনি প্রথম ২ বলে বাউন্ডারি হজম করেও পরে আর কোনো রান দেননি। পরে তাকে দিয়ে টানা ৪ ওভার বোলিং করে কোট শেষ করে দেন সাকিব। তাসকিন ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ১৫।
হাসানের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং
ভারতের বিপক্ষে তরুণ বোলার হাসান মাহমুদ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেন। ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তিনি ৩ উইকেট নেন। তার শিকার ছিলেন একে একে রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষয় প্যাচেল। তার আগের সেরা বোলিং ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এই বিশ্বকাপেই ১৫ রানে ২ উইকেট।
কোহলির তৃতিয় ফিফটি
বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস খেলে বিরাট কোহলি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন। আজকের মতো তারে আগের দুইটি ফিফটিও ছিল অপরাজিত। আগের দুইটি তিনি করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৮২ ও নেদারর্যান্ডসের বিপক্ষে অপরাজিত ৬২। চলতি আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি ১২ রান করে আউট হয়েছিলেন। সেই ম্যাচ ভারত হেরেছিল ৫ উইকেটে।
৪ ম্যাচ পর আবার ওপেনিংয়ে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার গ্যাড়াকলে পড়ে লিটন দাস উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে সফল থাকার পরও ওয়ান ডাউনে নেমে যেতে হয়। সেখানে তিনি খুব একটা ভালো করতে পারেননি। একটি মাত্র ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৯ রান করেছিলেন। আর কোনো বড় ইনিংস ছিল না। আজ ভারতের বিপক্ষে চার পেসার নিয়ে খেলতে নামায় এবং সৌম্য সরকারকে বাদ দেওয়াতে লিটন ৩ ম্যাচ পর আবার ওপেন করার সুযোগ পান। সেই সুযোগকে তিনি যথাযথভাবে কাজে লাগান মাত্র ২১ বলে ফিফটি করে। মোহাম্মদ সামি ছক্কা মেরে তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন। এ সময় আরেক ওপেনার নাজমুল হোসনে শান্তর রান ছিল মাত্র ৩। তার এমন মারমুখী ব্যাটিংয়ের কারণেই বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬০ রান করে। উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধশত রান আসে ৩৩ ম্যাচ পর। ৭ ওভারে শেষে বাংলাদেশের রান যখন ৬৬, লিটনের ৫৯, নাজমুলের ৭ তখন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার যখন খেলা শুরু হয় তখন লিটন রান আউট হয়ে যান ১ রান যোগ করে।
এমপি/এসএন