সাকিবের ভাবনায় দল হিসেবে ভালো খেলা
তিন ম্যাচের দুইটিতে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশ দল বেশ ভালোভাবেই শামিল হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে এরকম অবস্থায় যে বাংলাদেশ দল পৌঁছে যাবে তা ছিল কল্পনাতীত। এটাই স্বাভাবিক।
কেননা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। আগের ৭ আসরে জয় ছিল মাত্র একটি। সেখানে এবার নাজুক অবস্থায় জয় পাওয়ায় ছিল কষ্টকর। এমনকি প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রথমে নেদারল্যান্ডস, পরে জিম্বাবুয়েকে পাওয়ার পরও বাংলাদেশ দল যে তাদের বিপক্ষে জয়ী হবে- বাজি ধরতে গেলে হয়তো একজনও পাওয়া যেত না। কিন্তু নিজেদের ফিরে পাওয়ার মিশনে ধাবিত বাংলাদেশ দল সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে এই দুই ম্যাচ জিতেই। আর এই দুই জয়ই বাংলাদেশকে শামিল করেছে সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে।
সেমিতে যেতে হলে বাংলাদেশকে হারাতে হবে ভারত ও পাকিস্তানকে। কিন্তু এখানে বাংলাদেশের ব্যাটিং এক মহা দুঃশ্চিন্তার বিষয়। বড় স্কোর করতেই পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৪৪, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০১, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫০ রান সংগ্রহ ছিল। এই তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি এসেছে মাত্র একটি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছিলেন ৭১ রানের ইনিংস। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন আফিফ হোসেন ৩৮। লিটন দাসের ৩৪ রানের পর মোসাদ্দেকের অপরাজিত ২০ রান চতুর্থ সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইকরেটও চিন্তার কারণ। সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট আফিফের ১৩৩.৩৩। সৌম্য সরকার পরের স্থানে আছেন ১৩১.৮১ স্ট্রাইকরেট নিয়ে। তৃতীয়স্থানে থাকা নাজমুল হোসেনের স্ট্রাইকরেট ১২৫.০০। এ ছাড়া একশ'র উপরে স্ট্রাইকরেট আছে মোসাদ্দেকের ১০৮.০০ ও লিটন দাসের ১০৫.৫৫। কিন্তু এসব মোটেও আমলে নিতে চান না সাকিব। চিন্তার কোনো কারণও বলে মনে করেন না তিনি। কারণ তারা খেলছেন দল হিসেবে।
সাকিব বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে চিন্তার বিষয় না। এই বিশ্বকাপে আমাদের চিন্তা হলো দল হিসেবে কীভাবে ভালো খেলতে পারি। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে কখনো চিন্তা করিনি, করবও না। দল হিসেবে আমরা কতটা ভালো ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করতে পারি সেটাই আমরা আসলে সব সময় করার চেষ্টা করব।’
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিজেদের খেলায় সন্তুষ্ট জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার মনে হয় আমরা ভালো খেলছি। অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা আমরা ভালো খেলিনি। তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমনটা হতেই পারে। বাকি দুই ম্যাচ আমরা ভালো খেলেছি। আশা করি বাকি যে দুই ম্যাচ আছে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারব।’
ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা আবার কঠিন বলেও মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলাটা আসলে খুব কঠিন। বিশেষ করে ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে যখন খেলা হয়। ভিন্ন আক্রমণের সঙ্গে খেলা হয়। খুবই কঠিন ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা। তবে আমি বিশ্বাস করি দলের সেই সামর্থ্য আছে ধারাবাহিক ভালো খেলার ।’
এমপি/এসজি