ভারতের প্রেস কনফারেন্সে অবশেষে বাংলাদেশের নাম!
২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ নিয়ে অন্যরকম উত্তেজনা শুরু হয়। আইসিসি বা এসিসিরি যেকোনো আসরে এই দুই দলের মুখেমুখি হওয়া মানেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় কথার লড়াই।
মাঠের লড়াইয়েও থাকে তা দৃশ্যমান। এরই ধারাবাহিকতায় দুই দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আগামীকাল। অ্যাডিলেড খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টায়।
খেলা শুরুর আগে দুই দলেরই প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যেখানে নিজেদের দল ছাড়াও প্রতিপক্ষ নিয়ে নানা প্রশ্ন করে থাকেন সাংবদিকরা। কিন্তু আজ ভারতের প্রেস কনফারেন্স দেখে মনেই হবে না আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের সাংবাদিকরা একটিও প্রশ্ন করেননি। যে কারণে সংবাদ আসা ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ পাননি।অনেক চেষ্টার পর বাংলাদেশের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গটি আনলে রাহুল দ্রাবিড় তখন বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলেন।
ভারতের সংবাদ সম্মেলন হয়েছে আধ ঘণ্টারও বেশি সময়। প্রশ্ন হয়েছে প্রায় ২০টির মতো। সাধারণত প্রশ্ন করার আগে গাত তুলতে হয়। সেখানে বাংলাদেশের একাধিক সাংবাদিক প্রশ্ন করার জন্য হাত তুলে রাখেন। কিন্তু ভারতের মিডিয়া
ম্যানেজার মৌলিন একের পর এক ভারতের সাংবাতিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ দিতে থাকেন।
তারা ভারতীয় দল, টুর্নমেন্ট, এমন কি ৯ দিন আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের
ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করলেও বাংলদেশকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি। অথচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্মরণকালের যে সেরা ম্যাচ হয়েছে তা নিয়ে অবলীলায় প্রশ্ন করা যেত। প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়েতো প্রশ্ন করাই যেত। কিন্তু তার কোনটিই হয়নি। এদিকে বাংলাদেশের হাত তুলে রাখা সাংবাদিকরা উপেক্ষিতই থেকে যান। প্রেস কনফারেন্সের শেষের দিকে বাংলাদেশের এক সাংবাদিক প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে আগে বাংলাদেশের প্রেস কনফারেন্সে অধিনায়ক সাকিব ভারতকে হারালে ‘আপসেট হবে বলা কথাটি রাহুল দাব্রিড়ের সামনে তুলে ধরলে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেন।
রাহুল দাব্রিড় বলেন, ‘বাংলাদেশ দলকে আমি সম্মান করছি। তারা খুবই ভালো দল। এটি বিশ্বকাপ ক্রিকেট। এখানে কোনো দলকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। এটি ছোট ফরমম্যাটের খেলা। আয়ারল্যান্ড দেখিয়েছে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। , আসরে এমন অনেক ম্যাচই হয়েছে। জয়-পরাজয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১২ থেকে ১৫ রানের হয়ে থাকে।
এটা আসলে মাত্র দুটো শটের ব্যবধান। এই সংস্করণটা ক্ষুদ্র, প্রানবন্ত এবং গতিময়। এখানে তাই অনেক সময় এটা বলা খুব কঠিন হয়ে যায় যে কে পরিস্কার ফেভারিট। এই কন্ডিশন নিয়েও কথা বলতে হচ্ছে, যা লড়াইটাকে রাখছে সমতায়। উপমহাদেশে যে শটে ছক্কা হতে পারে, বাউন্ডারি সীমা বড় হওয়ায় অনেক সময় এখানে তা ক্যাচ হয়ে যায়। শেষদিকে দ্রুত রান তোলার যে ভাবনা থাকে, এখানে সেটাকে বাস্তবরূপ দেওয়া সহজ নয়। এখানে সহজইে ব্যাটাররা আউট হয়। আবহাওয়ার বিষয়টা বাদ দিয়ে বাকি সব দিক বিবেচনায় আমি মনে করি দুর্দান্ত একটা টুর্নামেন্ট হচ্ছে।’
ভারতের প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশের একজন মাত্র সাংবাদিক প্রশ্ন করার সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের প্রেস কনফারেন্সে ভারতের একাধিক সাংবাদিক প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
এমপি/এমএমএ/