মিলার-মারক্রামের ব্যাটে ভারতকে হারাল দ. আফ্রিকা
লো স্কোরিং ম্যাচ। তাতেই উত্তেজনা ছড়াল পুরোদমে। পার্থে শেষ হাসি দক্ষিণ আফ্রিকার। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মারক্রাম-মিলারের ব্যাটে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের এই জয়ে গ্রুপ টুয়ের লড়াই জমে উঠল। সেমিতে উঠার রাস্তা অনেকটা আরও কঠিন হয়ে গেল পাকিস্তানের।
আগে ব্যাট করতে নেমে ভারত করে ৯ উইকেটে ১৩৩ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই বল হাতে রেখে পৌঁছায় জয়ের বন্দরে। ২৯ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডি।
তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ টুয়ের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে চার পয়েন্ট পাওয়া ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সমান চার পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া জিম্বাবুয়ে চতুর্থ স্থানে। দুই পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তানের অবস্থান পঞ্চম।
সহজ জয়ের টার্গেটে খেলতে নেমে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ওভারেই দলটি হারায় দুটি উইকেট। আর্শদ্বীপ সিং প্রথমে ফেরান ৩ বলে ১ রান করা কুইন্টন ডি কককে। তৃতীয় বলে ফেরান রাইলি রুশোকে। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা রুশো এবার ফেরেন শূন্য রানে।
পাওয়ার প্লের ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ শামির আঘাত। তিনি ফেরান টেম্বা বাভুমাকে। ১৫ বলে এক ছক্কায় ১০ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এরপর হাল ধরেন এইডেন মারক্রাম ও ডেভিড মিলার। দুজনে যোগ করেন ৬০ বলে ৭৬ রান।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নেন মারক্রাম ৩৮ বলে। দলীয় ১০০ রানে ভাঙে এই জুটি। পান্ডিয়ার বলে যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাঝঘরে ফেরেন মারক্রাম ৪১ বলে ৫২ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার একটি ছক্কার মার। তার বিদায়ের পর ব্যাট হাতে দারুণভাবে এগোতে থাকেন ডেভিড মিলার। ওয়েন পার্নেলকে সঙ্গে করে শেষ অবধি দলকে জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজন। ৪৬ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার।
এর আগে টস জিতে শুরু থেকেই বিপদে ছিল ভারত। দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট পতন। এনগিডির বলে কট অ্যান্ড বল রোহিত শর্মা (১৪ বলে ১৫ রান)। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে এনগিডির শিকার লোকেশ রাহুল (১৪ বলে ৯ রান)। তিনি ক্যাচ দেন মারক্রামের হাতে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ভারতের রান ২ উইকেটে ৩৩। সপ্তম ওভারে এনগিডির বলেই বিদায় নেন বিরাট কোহলি। ১১ বলে দুই চারে ১২ রান করা কোহলি ক্যাচ দেন রাবাদার হাতে।
এমন বিপদের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন দীপক হুদা। এনরিখ নরটজের বলে উইকেটের পেছনে তিনি দেন ক্যাচ। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হুদা। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারনো ভারত তখন তাকিয়ে ছিল হার্দিক পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদব জুটির উপর। এই জুটিও বিপদ কাটাতে পারেনি। দলীয় ৪৯ রানেই এনগিডির সাঁড়াশি আক্রমণ। এবার তিনি বিদায় করেন সবচেয়ে ভয়ংকর হার্দিক পান্ডিয়াকে। ৩ বলে ২ রান করা হার্দিক ক্যাচ দেন রাবাদার হাতে।
এরপর ভারতের হয়ে যা করার তা করেছেন একমাত্র সূর্যকুমার যাদব। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা দুই অঙ্কের রান ছুঁতে না পারলেও সূর্য একাই খেলেন ৬৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ৪০ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ছয়টি চার ও তিন ছক্কা।
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি। ৪ ওভারে এক মেডেনসহ ১৫ রানে তিন উইকেট নেন ওয়েন পার্নেল।
এসজি