জিম্বাবুয়ের ৬০ ঘণ্টার মধুচন্দ্রিমা শেষ
বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় হয়তো চিরস্মরনীয় থাকবে জিম্বাবুয়ে ভক্তদের কাছে, কিন্তু দেশটির ক্রিকেটারদের জন্য তা হয়ে থাকল ৬০ ঘন্টার মধুচন্দ্রিমা।
বৃহস্পতিবার রাতে পার্থ স্টেডিয়ামে সেই জয়ের পর উদযাপন করেছে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটাররা। আবেগ সামলে, ব্যাগ গুছিয়ে ধরে ব্রিসবেনের পথ। ৪ হাজার ৩০০ কিলোমিটার ভ্রমণ শেষে প্রস্তুত হয় বাংলাদেশ ম্যাচের জন্য।
সেমিফাইনালে পৌঁছানোর দরজা দেখতে এই লড়াইয়ে জয়টা খুব প্রয়োজন ছিল ক্রেইগ আরভিনদের। প্রয়োজন ছিল সেই রাতের মতো আরেকটি উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) গ্যাবায় জ্বলেও উঠেছিলেন আরভিনরা। জয়ের আশা বাঁটিয়ে রাখে ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত, কিন্তু ফেরা হয়নি জয় নিয়ে। তাদের ভাগ্যে জুটেছে ৩ রানের হার। বিশ্বকাপের মূলপর্বে এটাই প্রথম পরাজয় জিম্বাবুয়ের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়েছিল বৃষ্টির আশীর্বাদে। সবমিলে ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্টে গ্রুপ টেবিলে চতুর্থ স্থানে আছে তারা।
সুপার-টুয়েলভের দ্বিতীয় গ্রুপে আর দুটো ম্যাচ বাকি রয়েছে জিম্বাবুয়ের। একটি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে, অপরটিতে প্রতিপক্ষ ভারত। সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখছে দুটো ম্যাচই জিততে হবে তাদের।
একইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের ফলের ওপর। অসংখ্য সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে এখন সুন্দর আগামীর অপেক্ষায় জিম্বাবুইয়ানরা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে শন উইলিয়ামস বলেছেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু আজকে আমরা অবশ্যই অসন্তুষ্ট। হারের ম্যাচ থেকেই আমাদের ইতিবাচক কিছু খুঁজে পেতে হবে এবং আগামীকালের দিকে এগিয়ে যাব।’
এমএমএ/