পাকিস্তানের প্রথম জয়, নেদারল্যান্ডসের বিদায়
দেরিতে হলেও বিশ্বকাপে জয়ের খাতা খুলল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি ইভেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন বাবর আজমরা।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) নেদারল্যান্ডসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছেন তারা। এই জয়ে সেমিফাইনাল খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে সুপার টুয়েলভে টানা তৃতীয় হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজেছে নেদারল্যান্ডসের।
পার্থ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করে নেদারল্যান্ডস। মন্থর গতির ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মোটে ৯১ রান করতে পারে ডাচরা। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেট হারালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে খুব বেশি বেগ পোহাতে হয়নি পাকিস্তানের। ৩৭ বল হাতে রেখে প্রতিপক্ষের লক্ষ্য টপকে যায় এশিয়ার দলটি।
রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। রানআউট হওয়ার আগে ৫ বলে ১টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। একাদশে ডাক পেয়ে ১৬ বলে ২০ রান করেন ফখর জামান। হাঁকান ৩টি চার। দল যখন জয় থেকে ৯ রান দূরে ছিল তখন পথ হারান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে সাজঘরে ফেরেন এই
পাকিস্তানি ওপেনার।
জয়ের দোড়গোড়ায় ভুল করেন শান মাসুদও। ১২ রানে তিনি যখন আউট হন তখন পাকিস্তান জয় থেকে ১ রান দূরে ছিল। এরপর উইকেটে নেমেই ৪ মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শাদাব খান। উইকেটের অপরপ্রান্তে ইফতিখার আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ৬ রানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে একেবারেই বিবর্ণ ছিল ডাচরা। পুরো ইনিংসে কখনোই তাদের রানরেট ৫ এর উপরে ছিল না। ১১ ওভার পর্যন্ত রানরেট ছিল ৪ এর নিচে! ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে মাত্র দুই ডাচ ব্যাটার স্পর্শ করতে পারেন দুই অঙ্কের রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রানের (২৭ বলে) ইনিংস খেলেন কলিন অ্যাকারম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ রান আসে অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের ব্যাট থেকে।
ব্যাটিংয়ে ডাচরা সবচেয়ে বেশি ভুগেছে শাদাব খানের বিপক্ষে। এই পাকিস্তানি লেগস্পিনার ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় পান ৩ উইকেট। নেদারল্যান্ডসের অপর উইকেটগুলো যায় পেসারদের ঝুলিতে। মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফ পান ১টি করে উইকেট। পাকিস্তানি বোলারদের জ্বলে উঠার দিনে ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ডাচদের বিদায়ের গল্প লেখা হয়ে যায়।
জিতলেও টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়ে গেছে পাকিস্তান। ৩ ম্যাচ শেষে তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে মাত্র ২ পয়েন্ট। সেমি খেলতে পরের দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। একই সঙ্গে নির্ভর করতে হবে অন্য ম্যাচের ফলের উপর।
এসজি