নড়বড়ে শুরুতেও বাংলাদেশের পুঁজি ১৫০
বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছে জিম্বাবুয়ের। এ ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে নড়বড়ে শুরু হয় বাংলাদেশের। পাওয়ারপ্লেতে সৌম্য ও লিটনকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ সামলে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৫০ রান।
খেলা শুরু হতে না হতেই ওপেনার সৌম্য সরকারকে হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ২ বল মোকাবিলা করেন সৌম্য। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দেন রেগিস চাকাভার হাতে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১০।
সৌম্য আউট হওয়ার পর জুটি গড়েন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু খুব বড় হয় না এই জুটি। ২২ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা। ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয় মুজারাবানিকে। এসেই উইকেট তুলে নেন তিনি।
ওভারের তৃতীয় বলে তেন্দাই চাতারার হাতে লিটন দাসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মুজারাবানি। ১২ বলে ১৪ রান করেন লিটন। তিনটি ছিল বাউন্ডারির মার।
লিটন দাস আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশকে বেশ ভালো অবস্থানে নিয়ে যান। ৫০ প্লাস রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। শন উইলিয়ামসের বলে ক্যাচ তুলে দিলেন সাকিব আল হাসান। স্লোয়ার দিয়েছিলেন উইলিয়ামস। সাকিব চেয়েছিলেন স্লগসুইপ খেলতে। কিন্তু বল ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় উপরে। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ব্লেসিং মুজারাবানি শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটিকে তালুবন্দি করেন।
২০ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন সাকিব। সাকিব আউট হওয়ার পরই নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্যারিয়ারের ১৬তম টি-টোয়েন্টিতে এসে ফিফটির দেখা পান তিনি।
ফিফটি করার পরপরই দ্রুত গতিতে রান তোলার দিকে নজর দেন শান্ত। ১৬তম ওভারে ১৬ রান নেন তিনি। কিন্তু ১৭তম ওভারে সিকান্দার রাজার স্লোয়ার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এক্সট্রা কভারে দাঁড়ানো ক্রেইগ আরভিন সেই ক্যাচটি লুফে নেন।
আউট হওয়ার আগে ৫৫ বলে ৭১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার মারে সাজানো ছিল তার ইনিংস।
ডেথ ওভারে মোসাদ্দেক ১০ বল খেলে করেন ৭ রান। তাতে নুরুল হাসান সোহান কিংবা ইয়াসিরদের সামনে সুযোগই তেমন এল না নিজেদের সক্ষমতা দেখানোর। শেষ বলে আফিফের ইনিংস থামে ১৯ বলে ২৯ রান তুলে। তাতেই বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫০ রানে।
আরএ/