ভারত ম্যাচেও প্রোটিয়াদের শক্তি পেসাররা
ফাইল ফটো
পার্থের উইকেটে উঁকি দিয়েছে সবুজের আভা। আগামীকাল রবিবার সবুজ উইকেটে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ধারণা করা হচ্ছে, উভয় ম্যাচে পেস আর বাউন্সের স্বাদ পাবে পেসাররা। তাই ভারত ম্যাচেও প্রোটিয়াদের শক্তি পেসাররা। পেস-বান্ধব উইকেটে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের লাগাম টেনে ধরার পরিকল্পনাই করেছেন আনরিচ নর্টজে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ মঞ্চে ইতিমধ্যে টাইগার ক্রিকেটারদের ঘোল খাইয়েছেন নর্টজে। আগুন বোলিংয়ে বাংলাদেশ ম্যাচে শিকার করেন ৪ উইকেট। বিনিময়ে ৩.৩ ওভারে দেন মোটে ১০ রান! টি-টোয়েন্টিতে এটাই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ভারত ম্যাচেও গতির ঝড় তুলতে চান নর্টজে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটি ম্যাচ(পার্থ স্টেডিয়ামে হওয়া) আমরা দেখেছি। এটা সত্যিই ভালো একটি উইকেট, অনেক পেস ও বাউন্স আছে।’
এই প্রোটিয়া পেসার আরও যোগ করেন, ‘আমরা শুধু চিহ্নিত করতে চাই যে (ম্যাচের) বোলিংয়ের জন্য ভালো লেন্থ ও লাইন কী হবে এবং সেটাতেই লেগে থাকতে হবে। অভিনব কিছু করার চেষ্টা করা যাবে না। আমাদের বেসিক বিষয়গুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে লেগে থাকতে হবে। যতটা সম্ভব উইকেট পেতে হবে এবং (ভারতকে) কম রানের মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে।’
চলতি বছরে নবমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুখোমুখি হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। জুনে ভারতের মাটিতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ করে প্রোটিয়ারা (একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়)। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তিন ম্যাচ সিরিজ হারে ২-১ ব্যবধানে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতেও এগিয়ে ভারত। ২৩ ম্যাচের ১৩টিতে জিতেছে এশিয়ার শক্তিধররা। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৯টিতে।
সুপার-টুয়েলভের দ্বিতীয় গ্রুপেও প্রোটিয়াদের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ভারতীয়রা। ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষস্থানে রোহিতরা। সমান ম্যাচ শেষে এক পয়েন্ট নিয়ে পরের স্থানেই টেম্বা বাভুমার দল। সব সমীকরণে এগিয়ে থাকলেও নির্ভার থাকছে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে কন্ডিশন নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক তারা- এমনটাই জানিয়েছেন বিক্রম রাঠৌর।
ভারতের ব্যাটিং কোচ বলেছেন, ‘(উইকেটে) আমরা নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার পথ খুঁজছি। আমি মনে করি না এটা ২০০ রানের উইকেট। তাই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমরা এই দিক থেকে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো করেছি।’
এসআইএইচ