উইলিয়ামসনের স্বস্তি, শানাকার অস্বস্তি
গ্লেন ফিলিপস একাই করেছেন ১০৪। শ্রীলঙ্কার ১১জন মিলে করেছেন ১০২ রান। এ যেন বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের প্রতিচ্ছবি। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ডুবেছিল রিলে রুশোর সেঞ্চুরিতে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) নিউজিল্যান্ড ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ডুবিয়েছেন ফিলিপস। তার অতিমানবীয় ইনিংসে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। অন্যদিকে সুপার টুয়েলভে টানা দ্বিতীয় হারে অস্বস্তিতে দাসুন শানাকা।
সিডনিতে দারুণ শুরুর পর ৬৫ রানে হার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে শানাকার। লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা সত্যিই দারুণ শুরু করেছি, বিশেষ করে প্রথম ১০ ওভারে। তবে কৃতিত্ব গ্লেন ফিলিপসের, যিনি অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন। আমরা কয়েকটি ক্যাচও ফেলেছিলাম। তাদের বোলিং আক্রমণের সামনে ১৬০ রান সব সময়ই কঠিন। আর ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিও সত্যিই ভালো বোলিং করেছেন।’
প্রতিপক্ষের ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করতে পারেনি এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটি শতরানের কোটা অতিক্রম করতেই অলআউট হয়ে যায়।
ব্যাটিং ধসের ব্যাখ্যায় শানাকা বলেন, ‘বড় স্কোর তাড়া করার একটি উপায় আছে। প্রথম কয়েকটি ক্ষেত্রে আপনার নিজেকে সুযোগ দিতে হবে। আমরা কখনই উইকেটে থিতু হতে পারিনি।’
টানা দুই হারে প্রথম গ্রুপে টেবিলের তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে শ্রীলঙ্কা। ৩ ম্যাচ শেষে তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে মাত্র ২ পয়েন্ট। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি অন্য ম্যাচের ফলেও নির্ভর করতে হবে। কঠিন পরিস্থিতিতে হাল ছাড়ছেন না শানাকা। তিনি বলেন, ‘(পরের দুই ম্যাচে) আমরা যদি জয় পাই, তাহলে সেমিফাইনালে উঠার সুযোগ থাকবে। তাই কেবল এটির জন্য অপেক্ষা করছি।’
অন্যদিকে সেমিফাইনাল এখন কিউইদের হাতের নাগালে। প্রথম গ্রুপে তারাই একমাত্র দল যারা এখনো কোনো হারের মুখ দেখেনি। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে মজবুত করেছে টেবিলের শীর্ষস্থান। ভালো অবস্থানে থেকেও ‘সেমি’ শব্দটা মুখে আনেননি উইলিয়ামসন। জয়ের নায়ক ফিলিপসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিউই দলপতি।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো সেঞ্চুরি আশ্চর্যজনক কিন্তু আমাদের খারাপ শুরুর পর যেভাবে ফিলিপস পরিশ্রম করেছে এবং প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছে তা অবিশ্বাস্য ছিল।’
ম্যাচের সারমর্ম উইলিয়ামসন তুলেন ধরেন এভাবে, ‘আকর্ষণীয় ম্যাচ। উইকেটে টেনিস বলের মতো বাউন্স ছিল। তাই ধীরগতির বল ও কাটারগুলো খুব কার্যকর ছিল। আমরা আক্রমনাত্মক ছিলাম, তবে পাওয়ার প্লেতে পারিনি। (এই উইকেটে) লেন্থ বলে হিট করা সবচেয়ে কঠিন ছিল। আমরা ওমন কিছু ডেলিভারিতে ধরাশায়ী হয়েছি। তবে (বোলিংয়ে) ছেলেরা পরিকল্পনা সত্যিই ভালোভাবে বাস্তবায়ন করেছে।’
এসজি