দুঃস্বপ্ন ভুলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে তাকিয়ে ইংল্যান্ড
আয়ারল্যান্ড ম্যাচে ভয়টা জয় করতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে অঘটনের শিকার হয়েছে ক্রিকেটের জনকরা। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বৃষ্টি আইনে হেরেছে ৫ রানে।
ওই দুঃস্বপ্ন ভুলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে তাকিয়ে ইংল্যান্ড। একই ভেন্যুতে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।
সুপার-টুয়েলভের প্রথম গ্রুপে ইতোমধ্যে একটি করে হার দেখেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় হার কঠিন করে তুলবে তাদের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই। কেন না, গ্রুপ-১ এ রয়েছে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ড। কিউইরা ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে। সমান দুই পয়েন্ট হলেও ইংলিশদের অবস্থান তিনে, অস্ট্রেলিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে।
গুঞ্জন ওঠেছিল, অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে একাদশে বড় পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে ইংল্যান্ড। যেমন মঈন আলি অথবা লিয়াম লিভিংস্টোনকে দেখা যেতে পারে ব্যাটিং অর্ডারের উপরে। আর অনুশীলনে বোলাররা ছন্দে না থাকলে বোলিং বিভাগে একাধিক পরিবর্তন এনে একাদশ সাজাবে ক্রিকেটের জনকরা। সব গুঞ্জনই উড়িয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ম্যাথু মট।
তিনি বলেছেন, ‘একমাস ধরে আমরা সঠিক ক্রিকেট খেলছি। একটিমাত্র দিন খারাপ হওয়ায় দলে বড় পরিবর্তন আনব না। আপনি রাতারাতি নিজেকে নতুনভাবে তৈরি করতে পারবেন না। বিশ^কাপ জেতা অনেক দল প্রথমদিকে হেরেছে। এই (আইরিশদের কাছে হারের) মানসিক যন্ত্রণা আপনার জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে। হ্যাঁ, আমরা কোনো ম্যাচ হারতে চাই না কিন্তু এটা সম্ভবত আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্টের মতো একই ভাবনা অ্যারন ফিঞ্চেরও, ‘কন্ডিশন যাইহোক, আমাদের দল প্রায় একই রকম থাকবে। আমরা বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে এসেছি। মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ে ৪ থেকে ৭ নাম্বারে আছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, ডেভিড টিম। সুতরাং আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে খুব বেশি পরিবর্তন দেখছি না।’
লড়াই যার বিপক্ষেই হোক, নিজেদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার পক্ষে নন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ফিঞ্চ বলেছেন, ‘আমরা মনে করি প্রত্যেক খেলোয়াড় তাদের ভূমিকা এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানে। একটি দল হিসেবে আপনি যা করতে পারেন তা হলো পরিকল্পনা করা এবং সবকিছুর জন্য যতটা সম্ভব প্রস্তুত থাকা, যা আমরা এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচে করেছি।’
টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি সাক্ষাতে সমানে তালে ছুটছে দুই দল। ২৩ বারের দেখায় ১০টিতে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড জিতেছে ১১ ম্যাচে। পরিত্যক্ত হয়েছে বাকি ম্যাচ দুটো। অর্থাৎ এই পরিসংখ্যানে সমতা টানার সুযোগ এখন বিশ^কাপ আয়োজক ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সামনে।
এমএমএ/