সূর্যের আলো থাকবে বিশ্বকাপ জুড়ে
মহারণে জ্বলে উঠে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচে ১৫ রানে (১০ বলে) থামেন এই ভারতীয় ব্যাটার। বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্বিতীয় সুযোগটি নষ্ট করেননি তিনি।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে হাত খুলেছেন ৩২ বছর বয়সি ব্যাটার। ২০৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। হয়েছেন ম্যাচসেরা। এরপরই প্রতিশ্রুতি দিলেন-সূর্যের আলো থাকবে বিশ্বকাপ জুড়ে।
ডাচদের বিপক্ষে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন সূর্যকুমার। তার ২৫ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার এবং ১ ছক্কার মার। এদিন অর্ধশতকের দেখা পান তার দুই সতীর্থ রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি।
দুজনের স্ট্রাইক রেট ছিল দেড়শ’র নিচে। অর্থাৎ বড় মঞ্চে অভিজ্ঞ দুই সতীর্থের চেয়েও অনেক বেশি মারমুখী ছিলেন সূর্যকুমার। যেমনটা ফুটে উঠে পল ফন মিকেরেনের বক্তব্যে। ম্যাচ শেষে ডাচ বোলার জানান, তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল সূর্যকুমার।
মিকেরেনের মন্তব্য ধরেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা শুরু করেন সূর্যকুমার, ‘আমি এটিকে প্রশংসা হিসেবে তবে এর বেশি কিছু বলব না। আমি যেভাবে ব্যাটিং করি সেভাবে ব্যাটিং চালিয়ে যাব। চারে ব্যাটিং করার দুটো পরিস্থিতি রয়েছে। একটি, দল শুরুর দিকে উইকেট হারিয়েছে এবং কম রান করেছে। অথবা অনেক রান করেছে এবং কিছু উইকেট হারিয়েছে। প্রথমটির ক্ষেত্রে আমাদের গতি আনবে হবে, দ্বিতীয়টিতে গতি ধরে রাখতে হবে। যেকোনো উপায়ে স্কোরিংয়ের সেই গতিতে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ।’
দলের জয়ের দিনে কোহলির সঙ্গে জুটি বাধেন সূর্যকুমার। ৪৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটি উপহার দেন তারা। এ প্রসঙ্গে সূর্যকুমার বলেছেন, ‘আমরা একে অপরকে সম্মান করি এবং আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব আছে। এ ছাড়া, তিনি বলতে পারেন যে বোলার কী বল করবে। তার সঙ্গে জুটি গড়ার অর্থ হলো আপনাকে দ্রুত রান করতে হবে। আমি তার সঙ্গে আরও জুটি গড়ার জন্য মুখিয়ে আছি।’
এমএমএ/