ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৮৯ রানে হারিয়ে ফেলেছে ৯ উইকেট।
বাংলাদেশি ব্যাটাররা কেউই ভালো করতে পারেননি। সবাই যাওয়া আসার মধ্যেই ছিলেন। লিটন দাস সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৩৪ রান করেন।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারে ছিল তাসকিনের দাপট। ৬ বলে মাত্র ২ রান দেন টাইগার পেসার এবং তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। পরের ওভারে স্পিনার মিরাজ দেন ৮ রান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিনের ওপর চড়াও হন কুইন্টন ডি কক ও রিলে রুশো। দুই নো বলের ওভারে দুজনে মিলে তুলে নেন ২১ রান।
বোলিংয়ে এসে সুবিধা করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান দেন এই পেসার। মিরাজের পরের ৬ বলে আসে ১৬ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মিতব্যয়ী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় আবার বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা বন্ধ ছিল কিছু সময়। সবমিলে ৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজি ছিল ১ উইকেটে ৬৩ রান।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আরও মিতব্যয়ী। এই পার্টটাইম স্পিনার দেন মাত্র ৩ রান। পরের ১৮ বলে টাইগার বোলাররা দেদারছে রান না দিলে ১০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিল ৯১ রান। ইনিংসে ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে দলকে ব্রেক থ্রু উপহার দিতে ব্যর্থ হন সাকিবও। উল্টো দেন ২১ রান!
অবশেষে ১৪.৩ ওভারে ডি কক-রুশোর প্রতিরোধ ভাঙেন আফিফ হোসেন। দলীয় ১৭০ এবং ব্যক্তিগত ৬৩ রানে টাইগার স্পিনারের শিকার হন ডি কক। খানিকবাদে ৭ বলে ৭ রান করা স্টাবসকে প্যাভিলিয়নে পাঠান সাকিব। এরপরই ৫২ বলে শতরানের কোটা পূর্ণ করেন রুশো। তাকেও থামান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৫৬ বলে ৭ চার এবং ৮ ছক্কায় ১০৯ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন রুশো। তিনি আউট হওয়ার পর এইডেন মার্করামকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। শেষ দিকে দ্রুত ৪ উইকেট খুঁইয়ে কিছুটা মন্থর হয় প্রোটিয়াদের রান তোলার গতি। তবুও অনায়াসে দুইশ ছাড়িয়ে যায় তাদের দলীয় সংগ্রহ।
আরএ/