টাইগারদের নির্বিষ বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ২০৫
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মন মতো শুরু পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমে টস হারেন সাকিব আল হাসান। এরপর টাইগার বোলারদের নির্বিষ বোলিং। আর উইকেটে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন রিলে রুশো। তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি। তাতে বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের সুপার-টুয়েলভে দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা।
এটা চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো দলের সর্বোচ্চ দলীয় রান। অপরদিকে, টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ১০৯ রানের ইনিংস খেলেছেন রুশো। এই ফরম্যাটে এটা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার। বিশ্বকাপের আগে ইনডোরে ভারত সিরিজে ১০০ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন ৩৩ বছর বয়সি এই বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটার।
সবার জানা, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটগুলো পেসারদের জন্য স্বর্গরাজ্য। পার্থক্য কেবল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। সেখানে স্পিনও কিছুটা কার্যকর। তাই এদিন মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তার অন্তর্ভুক্তিতে একাদশে জায়গা হারান ইয়াসির আলী। একাদশে একটি মাত্র পরিবর্তন এনে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে টিম টাইগার্স।
ইনিংসের প্রথম ওভারে ছিল তাসকিনের দাপট। ৬ বলে মাত্র ২ রান দেন টাইগার পেসার এবং তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। পরের ওভারে স্পিনার মিরাজ দেন ৮ রান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিনের ওপর চড়াও হন কুইন্টন ডি কক ও রিলে রুশো। দুই নো বলের ওভারে দুজনে মিলে তুলে নেন ২১ রান।
বোলিংয়ে এসে সুবিধা করতে পারেননি হাসান মাহমুদ। নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান দেন এই পেসার। মিরাজের পরের ৬ বলে আসে ১৬ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মিতব্যয়ী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় আবার বৃষ্টির বাগড়ায় খেলা বন্ধ ছিল কিছু সময়। সবমিলে ৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার পুঁজি ছিল ১ উইকেটে ৬৩ রান।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আরও মিতব্যয়ী। এই পার্টটাইম স্পিনার দেন মাত্র ৩ রান। পরের ১৮ বলে টাইগার বোলাররা দেদারছে রান না দিলে ১০ ওভার শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিল ৯১ রান। ইনিংসে ১১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে দলকে ব্রেক থ্রু উপহার দিতে ব্যর্থ হন সাকিবও। উল্টো দেন ২১ রান!
অবশেষে ১৪.৩ ওভারে ডি কক-রুশোর প্রতিরোধ ভাঙেন আফিফ হোসেন। দলীয় ১৭০ এবং ব্যক্তিগত ৬৩ রানে টাইগার স্পিনারের শিকার হন ডি কক। খানিকবাদে ৭ বলে ৭ রান করা স্টাবসকে প্যাভিলিয়নে পাঠান সাকিব। এরপরই ৫২ বলে শতরানের কোটা পূর্ণ করেন রুশো। তাকেও থামান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৫৬ বলে ৭ চার এবং ৮ ছক্কায় ১০৯ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন রুশো। তিনি আউট হওয়ার পর এইডেন মার্করামকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। শেষ দিকে দ্রুত ৪ উইকেট খুঁইয়ে কিছুটা মন্থর হয় প্রোটিয়াদের রান তোলার গতি। তবুও অনায়াসে দুইশ ছাড়িয়ে যায় তাদের দলীয় সংগ্রহ।
আরএ/