প্রোটিয়াদের উপর চাপ দেখছেন সাকিব
বিশ্বকাপের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের দোড়গোড়ায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বেরসিক বৃষ্টি জিততে দেয়নি তাদের। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে দুই দল। আগামীকাল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। টাইগাররা বিশ্বকাপ শুরু করেছে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে। জয়ের সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় সিডনিতে প্রোটিয়াদের উপর চাপ দেখছেন সাকিব।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সুপার-টুয়েলভের গ্রুপ-২ এ দলের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বুধবার (২৬ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘এটা উভয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট আশা করেছিল কিন্তু হয়নি। এটা (বাংলাদেশের বিপক্ষে) তাদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। তাই তারা কিছুটা চাপের মধ্যে থাকবে।’
স্বাভাবিকভাবেই অস্ট্রেলিয়ার উইকেটগুলো পেস-বান্ধব। তবে সিডনিতে স্পিন-বান্ধব উইকেট পাওয়ায় প্রত্যাশায় টাইগার অধিনায়ক।
সাকিব বলেছেন, ‘আমাদের ঝুলিতে একটি জয় আছে। এখন আমরা এমন একটা মাঠে খেলব যা স্পিনারদের সাহায্য করে। দক্ষিণ আফ্রিকার দলে বেশ কিছু বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে কিন্তু আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব।’
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কখনোই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো হয়নি বাংলাদেশ। পূর্বে সাত সাক্ষাতেই পেয়েছে হারের স্বাদ। ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের হারানোর রেকর্ড আছে টাইগারদের। চলতি বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল লাল-সবুজ দল। ফরম্যাট ভিন্ন হলেও সেই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছেন সাকিব।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘তাদের বিপক্ষে সম্প্রতি আমাদের কিছু ভালো স্মৃতি আছে। যদিও অন্য ফরম্যাটে। এটা অবশ্যই আমাদের মানসিকভাবে সাহায্য করবে। (কাল বিশ্বকাপের ম্যাচে) আমরা স্পষ্ট হতে চাই এবং ম্যাচ উপভোগ করতে চাই।’
একইসঙ্গে ম্যাচ ভেন্যুতে ভক্তদের ভিড় দেখার অপেক্ষায় সাকিব, ‘সিডনিতে অনেক বাংলাদেশি থাকায় আমরা বড় ভিড়ের প্রত্যাশা করছি।’
সাকিব আরও বলেছেন, ‘ওপেনিং জুটি আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। দুই ওপেনারই বেশ ইতিবাচক ছিল (নেদারল্যান্ডস ম্যাচে), যেটা তাদের রানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের এখন আরও স্বাধীন হয়ে খেলতে হবে। আমরা সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের বিপক্ষে খেলেছি। আমরা জানি তারা কী করতে পারে। আশা করছি তাদের পরিকল্পনা মোকাবিলা করতে পারব।’
সব ছাপিয়ে নিজেদের খেলার উপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘(ম্যাচ নিয়ে) আমরা ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাই না। আমরা প্রতিপক্ষ ও অবস্থার দিকে তাকাই এবং এভাবেই বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি, কারণ প্রতিটি মাঠ আলাদা। যেমন মাঠের পরিধি, বাতাস এবং কন্ডিশন আলাদা। তাই আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করব।’
এমএমএ/