মেলবোর্নে এই জয় আশ্চর্যজনক: বালব্রিনি
ইংল্যান্ডের সঙ্গে দুই বছর পর দেখা। সেটাও মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। যেখানে ম্যাচ খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না আয়ারল্যান্ডের। সমস্ত প্রতিকূলতা এড়িয়ে দারুণ লড়ল তারা। সঙ্গে সহায় হলো বৃষ্টি। সবমিলে এল ৫ রানের অসাধারণ এক জয়। নিজেদের সাফল্যের ব্যাখ্যায় অ্যান্ড্রু বালব্রিনি বলতে বাধ্য হলেন যে মেলবোর্নে তাদের এই জয় আশ্চর্যজনক।
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় জয় পেল আয়ারল্যান্ড। প্রথম দুই জয় এসেছে ওয়ানডে ফরম্যাটে, যা আইরিশ ইতিহাসে লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে। ব্যাঙ্গালুরুতে ২০১১ বিশ্বকাপ ম্যাচে ইংলিশদের ৩২৭ রান টপকে জিতেছিল তারা। দুই বছর আগে সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল ৩২৯ রান তাড়ায়।
ওয়ানডেতে ১৩ বারের সাক্ষাতে এই দুটি জয়ই আছে আয়ারল্যান্ডের ঝুলিতে। এবার অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটি বিশ্বকাপের মঞ্চে টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের খাতা খুলল তারা। এই ফরম্যাটে দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ২০১০ বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে।
মেলবোর্নেও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। এ যাত্রায় আকাশের কান্না আশীর্বাদ বয়ে আনে আইরিশদের জন্য। ম্যাচে ইংলিশদের ১৫৮ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় তারা। রান তাড়ায় ১৪.৩ ওভারে ক্রিকেটের জনকদের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১০৫ রান। তখনই নামে বৃষ্টি এবং আয়ারল্যান্ডকে উপহার দেয় ৫ রানের জয়।
শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চ বৃষ্টি ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আইরিশদের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। ব্যাটিং আর বোলিং দুই বিভাগেই ছিল তাদের দাপট। সবটাই উপভোগ করছেন বালব্রিনি, ‘এটা আশ্চর্যজনক, আবেগপ্রবণ। মেলবোর্নে ফেবারিটদের সঙ্গে খেলা, যেখানে আমরা আগে কখনো ম্যাচ খেলিনি, এটা আশ্চর্যজনক।’
হাফসেঞ্চুরি (৬২) হাঁকিয়ে দলের জয়ের নায়ক ছিলেন বালব্রিনি নিজেই। হয়েছেন ম্যাচসেরা। তবু একক কৃতিত্ব নেননি আইরিশ অধিনায়ক, ‘ভিড়ের মধ্যে থাকা কিছু ভক্ত আমাদের উদ্দীপনা বাড়িয়েছে। বিস্ময়কর ছিল তাদের সমর্থন এবং বাড়ি ফেরার পর এটা আমাদের খেলার মান বাড়াতে সাহায্য করবে।’
বিশ্বকাপে একই ভেন্যুতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে আয়ারল্যান্ড। শুক্রবার তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ইংলিশ বধের আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে আফগান ম্যাচেও ভালো কিছুর আশায় বালব্রিনি, ‘একই ভেন্যুতে আমরা শুক্রবার আফগানিস্তানকে পাব। হাতে সময় কম। আমরা এই ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি।’
এসি/এএস