রাত পোহালেই আইরিশদের ইংলিশ পরীক্ষা
বড় মঞ্চে কঠিন গ্রুপে আয়ারল্যান্ড। বিশ্বকাপের সুপার-টুয়েলভে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তান। গ্রুপ-১ এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তা পায়নি তারা। হেরেছে ৯ উইকেটের ব্যবধানে। এবার রাত পোহালেই আইরিশদের ইংলিশ পরীক্ষা।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটা দুই দলের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। প্রথম দেখা হয়েছিল একই মঞ্চে। গায়ানায় প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ২০১০ বিশ্বকাপের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টির বাগড়ায়। আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বদৌলতে দীর্ঘ এক যুগ পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে দেখা হবে তাদের।
সবমিলে দুই বছর পর ক্রিকেটে মুখোমুখি হবে দুই প্রতিবেশি দেশ। সবশেষ লড়েছে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট। সাউদাম্পটনে ওই ম্যাচে চমক দেখিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ৩২৮ রান টপকে গিয়েছিল ৭ উইকেট এবং ১ বল হাতে রেখে! এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ক্রিকেটের জনকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে ফের জ্বলে ওঠার আশায় অ্যান্ড্রু বালব্রিনিরা।
আইরিশ কোচ হেনরিখ মালান বলেছেন, ‘দুই দেশের মধ্যে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। তবে আমাদের পরিস্থিতি, কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বুঝতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে তাদের সঙ্গে খেলেনি, তাই এটি একটি চমৎকার চ্যালেঞ্জ হবে। আমাদের কিছু খেলোয়াড় আছে যারা তাদের নাম আলোকিত করেছে এবং সেই সুযোগের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। আশা করছি আমরা জ্বলে ওঠতে পারব।’
শুধু মালান নন, চ্যালেঞ্জ দেখছেন ইংলিশ পেসার মার্ক উডও, ‘আয়ারল্যান্ড যেকোনো খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেললে তারা ইংল্যান্ডকে হারাতে চায়, তাই এটা একটি বড় খেলা হবে।’ সতীর্থের সুরে সুর মিলিয়েছেন পেস অলরাউন্ডার ক্রিস ওকসও। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি বলেছেন, ‘উভয় দলের জন্য বড় একটি ম্যাচ।’
নির্ভার থাকছেন না ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারও, ‘এটি বিশ্বকাপ। যেকোনো দল তাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলবে। আমরা এমনটাই ভাবছি। আমরা প্রতিটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের সেরা খেলা খেলতে চাই। আয়ারল্যান্ড তাদের সেরা ক্রিকেট খেলবে না, এমন কোনো ভাবনা নেই আমাদের। এই ম্যাচটির জন্য তারা উজ্জীবিত থাকবে। তারা আমাদের হারাতে চায়, আমরাও তাদের হারাতে চাই।’
স্বাভাবিকভাবেই ঐতিহ্য এবং শক্তি-সামর্থ্যে ইংল্যান্ডের চেয়ে ঢের পিছিয়ে আয়ারল্যান্ড। কাল বালব্রিনিদের বড় চ্যালেঞ্জ হবে ইংলিশ পেসারের গতি সামলানো। বিষয়টি অজানা নয় মালানের। তবে আইরিশ কোচের বিশ্বাস, তার শিষ্যরা সামলে নিবে সব, ‘এই টুর্নামেন্টে শুধুমাত্র সে (মার্ক উড) দ্রুত গতিতে বল করছে না। আরও কিছু খেলোয়াড় আছে যারা দ্রুত এবং দারুণ বল করছে।’
মালান যোগ করেন, ‘আমাদের তাদের গতি মোকাবিলা করার প্রয়োজন পড়েনি বা দিন ধরে এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ারও দরকার হয়নি। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জটা এখন আমাদের সামনে। একটি আন্তর্জাতিক দল হিসেবে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের সামনে যা আসছে তার প্রতিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আশা করছি আমাদের প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনা কার্যকর হবে।’
আরএ/