শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দারুণ জয় অস্ট্রেলিয়ার
শুরুটা নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হার দিয়ে। সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ের বিকল্প ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। সে পথে ভালোমতোই সফল অজিরা। সুপার টুয়েলভের ম্যাচে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা।
পার্থে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে হারা অস্ট্রেলিয়ার এটি সুপার টুয়েলভে প্রথম জয়। প্রথম ম্যাচে আইরিশদের হারানো শ্রীলঙ্কার এটি প্রথম হার।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরস্থির ছিল অস্ট্রেলিয়ার। হাত খুলে মারতে গিয়ে প্রথমে বিদায় নেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। থিকসেনার বলে ওয়ার্নারের ক্যাচ নেন শানাকা। ১০ বলে ১১ রান করেন তিনি।
ব্যক্তিগত ৪ রানে একবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মিচেল মার্শ। ধনাঞ্জয়ার বলে বিদায় নেন ১৭ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৮ রান করে। দশম ওভারে হাসারাঙ্গাকে দুই ছক্কা ও এক চার হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়ান মারকুটে ম্যাক্সওয়েল। ১১.৩ ওভারে লাহিরুর বলে গলায় আঘাত পান ম্যাক্সওয়েল। ভাগ্য ভালো দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠেন।
১৩তম ওভারে করুনারত্নের প্রথম বলে জীবন পান ফিঞ্চ। কিন্তু তিন দফায় চেষ্টার পরও তা লুফে নিতে পারেনি বদলি ফিল্ডার বান্দারা। পরের বলে ছক্কা হাকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ম্যাক্সওয়েল। শরীরের ভারসাম্য ধরে রেখে ক্যাচ লুফে নিয়ে আগের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন বান্দারা। ১২ বলে ২৩ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর ফিঞ্চের সঙ্গে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন স্টয়নিস। এই জুটিই দলকে পাইয়ে দেয় সহজ জয়। ১৮ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মারকুইস স্টয়নিস। ছয় ছক্কার পাশাপাশি তিনি হাঁকান চারটি চার। ৪২ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে ছিলেন লঙ্কান দুই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে পেট কামিন্সের বলে মার্শের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ বলে এক চারে ৫ রান করা কুশল মেন্ডিস।
শুরুর চাপ সামলান পাথুম নিশাঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। দলীয় ৭৫ রানে এই জুটি ভাঙে। অ্যাগারের বলে বাউন্ডারি লাইনে দেওয়া ধনাঞ্জয়ার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২৩ বলে তিন চারে ২৬ রান করেন ধনাঞ্জয়া।
ফিফটির পথে এগিয়ে যাওয়া পাথুম নিশাঙ্কা থামেন দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে। দলীয় স্কোর তখন ৯৭। ৪৫ বলে দুটি চারে ৪০ রান করে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পর টিকতে পারেননি ভানুকা রাজাপাকসে (৭)। স্টার্কের শিকার তিনি। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফিরে লঙ্কানদের হতাশ করেন অধিনায়ক দাশুন শানাকা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৫ বলে ৩ রান করা শানাকা ম্যাক্সওয়েলের শিকার। হ্যাজলউডের বলে ওয়েডের কাছে ক্যাচ দেন ৪ বলে ১ রান করা হাসারাঙ্গা।
শেষের দিকে লঙ্কানদের রানের চাকা সচল রাখেন আসালাঙ্কা ও করুনারত্নে। ২৫ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন আসালাঙ্কা। ৭ বলে দুই চারে ১৪ রানে নট আউট চামিকা। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট নেন হ্যাজলউড, কামিন্স, স্টার্ক, অ্যাগার ও ম্যাক্সওয়েল।
এসজি