হ্যাটট্রিকের আফসোস নেই তাসকিনের
নেদারল্যান্ডস ম্যাচে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও তা পাওয়া হয়নি তাসকিন আহমেদের। এমনকি পাওয়া হয়নি পাঁচ উইকেট। বাংলাদেশের জয়ের ম্যাচে ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
এটা টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। সবমিলে হ্যাটট্রিক কিংবা পাঁচ উইকেট না পাওয়া নিয়ে মোটেও আফসোস নেই তাসকিনের; বরং দলের জয়ে অবদান রাখাতেই তুষ্ট টাইগার পেসার।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘এই উইকেটে (হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে) ১৪০-১৫০ রান ভালো স্কোর। আমি আমার বেসিকটা ঠিক রেখে শুরু করতে চেয়েছিলাম। যেমন শুরুতে ভালো জায়গায় সুইং করানো। উইকেট এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করেছিলাম। (হ্যাটট্রিকের আশা) অবশ্যই ছিল।’
আসলে হ্যাটট্রিক কিংবা পাঁচ উইকেট পেতে একটু ভাগ্যের ছোঁয়া লাগে। যাইহোক, জিততে পেরেছি এবং জেতানোর পেছনে অবদান ছিল। তাতেই খুশি, যোগ করেন তিনি।
একইসঙ্গে আত্মতুষ্টিতে ডুব দিচ্ছেন না টাইগার পেসার। নিজের আরও উন্নতি দেখতে চান তিনি, ‘উন্নতির খোঁজে আছি। এখনো মনে করি যে আমার উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমি পরিপূর্ণ ইম্প্রভড ক্রিকেটার হতে চাই। দুই দিকে বল সুইং করাতে এবং দলের জয়ে অবদান রাখতে চাই। এটা আমার সবসময়কার টার্গেট। আমি আরও দুইধাপ ওপরে থাকতে চাই। প্রধান লক্ষ্য হলো, আরও উন্নতি করে ভালো অবস্থানে থেকে সামনের সিরিজগুলোতে খেলা।’
ম্যাচের আগে টায়ারকে সামনে রেখে বেশ লম্বা সময় ইয়র্কার বোলিং অনুশীলন করেছিল টাইগার পেসাররা। তবে মূল লড়াইয়ে তার বাস্তব প্রয়োগ দেখা যায়নি। কেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে তাসকিন বলেছেন, ‘আজকের উইকেটে লেন্থ বল, বাউন্সার এগুলো খুব ভালো হচ্ছিল। এজন্য আজকের আমাদের লেন্থ বলটাই বেশি কার্যকর ছিল, ইয়র্কার ট্রাই করার থেকে। হ্যাঁ, আমি, হাসান সবাই ইয়র্কার ট্রাইও করেছি কিছু বলে। কিন্তু লেন্থ বলগুলোতে যেহেতু সুইং, বাড়তি বাউন্স পাচ্ছিলাম তাই ওগুলোতেই বেশি মনোযোগী ছিলাম।’
টাইগার পেসার যোগ করেন, ‘একেকটা মাঠের উইকেটের আচরণ একেক রকম। আর টায়ার প্র্যাকটিসের কৌশলটা আমাদের প্রধান কোচের। যাতে আমরা ইয়র্কার, ওয়াইড ইয়র্কার এগুলোতে আরও বেশি ধারাবাহিক হতে পারি। ওই প্র্যাকটিসটা আমরা সবসময় করি ইয়র্কার ডেলিভারিতে উন্নতির জন্য, কারণ ডেথ ওভারে আমাদের রেকর্ড খুব বেশি ভালো না কিন্তু আগের থেকে ভালো হচ্ছে। তাই আমরা আরও ধারাবাহিক হওয়ার চেষ্টা করছি।’
এমএমএ/