আমাদের জন্য বড় জয়: তাসকিন
অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার পর্বে জয়ের খাতা খুলল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের আগের সাত সংস্করণের প্রত্যেকটিতে অংশগ্রহণ ছিল লাল-সবুজ দলের। কিন্তু কোনোবারই মূলপর্বে জয়ের দেখা পায়নি টাইগাররা।
বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে এসে সেই খরা কাটাল বাংলাদেশ। সোমবার (২৪ অক্টোবর) হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। তাই এটাকে নিজেদের বড় জয় হিসেবেই দেখছেন তাসকিন আহমেদ।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে সুপার-এইটের তিন ম্যাচের সবকটিতে হারে বাংলাদেশ। দুই বছর পর ইংল্যান্ডের পরের সংস্করণে সুপার-এইটেই ওঠতে পারেনি দল। হেরেছিল গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচের দুটোতেই। ২০১০ সালে উইন্ডিজে এবং ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ২০১৪ সালে দেশের মাটিতে এবং ২০১৬ সালে ভারতে সুপার-টেনে টিম টাইগার্স হারে চার ম্যাচের প্রত্যেকটিতে।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছোট ফরম্যাটের বিশ্বকাপে টাইগারদের ব্যর্থতা এখনো তাজা। সুপার-টুয়েলভে ভরাডুবি হয়েছিল পাঁচ ম্যাচেই।
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার কঠিন কন্ডিশনে বড় মঞ্চে হারের বৃত্ত ভাঙল বাংলাদেশ।
সেটাই মনে করিয়ে দিলেন তাসকিন, ‘আমরা এর আগে কখনোই সুপার-টুয়েলভে ম্যাচ জিতিনি। তাই এটা আমাদের জন্য খুব বড় জয়। এখন আসলে টি-টোয়েন্টিতে কোনো দলকেই ছোট করার সুযোগ নেই। উইন্ডিজের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাছাইপর্ব রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছে। তো এটা আমাদের জন্য বড় জয়।’
ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড এবং আমন্ত্রিত পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ।
সেখানকার এবং অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন একই নাকি পার্থক্য রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে টাইগার পেসার বলেছেন, ‘আমি মনে করি ক্রাইস্টচার্চের উইকেটে কিছুটা ভিন্ন।’ এরপর একগাল হেসে তাসকিন বলেন, ‘মিল আছে আবহাওয়ার মধ্যে। আজকে এখানে ঠান্ডা, তখন সেখানেও ঠান্ডা ছিল। আর কিছু না।’
এমএমএ/