প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের গতি বাড়বে?
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে যদি দক্ষিণ আফ্রিকা কিছু শিখে থাকে, সেটা হলো- রান তোলার গতি বাড়াতে হবে।
গত বছর আইসিসি ইভেন্টটিতে সুপার-টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের চারটি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবু সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। সমান ৮ পয়েন্ট হলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় শেষ চারে ওঠেছিল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
প্রোটিয়ারা ধরেছিল বাড়ি ফেরার বিমান। ওই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার তাদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশকে অলআউট করেছিল ৮৪ রানে। তারপরও জয় পেতে ১৩.৩ ওভার খেলতে হয় তাদের। ওই ম্যাচে যদি দ্রুত রান তাড়া করতে পারত তারা, তবে প্রোটিয়াদের বিশ^কাপ মিশনটা হতে পারত ভিন্ন।
এখন এক বছর পরে, আগামীকাল জিম্বাবুয়ে ম্যাচ দিয়ে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার আগে প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা সচেতন যে তাদের শুধু জয়ের দিকে নয়, জয়ের ব্যবধানের দিকেও নজর রাখতে হবে।
রবিবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বললেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা, ‘আমাদের পারফর্ম করতে হবে এবং পাশাপাশি যতটা সম্ভব (নেট) রানরেট ভালো রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। টুর্নামেন্টে আমরা নিজেদের নির্ভার রাখতে চাই না। আসলে এমনটা (অনুভব) করার সময়ও নেই।’
হাস্যকরভাবে, বাভুমা হলেন সেই খেলোয়াড় যাকে ঘিরে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের আলোচনা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। দ্রুত রান তোলায় সিদ্ধহস্ত নন তিনি। চলতি বছরটাও এখন পর্যন্ত খুব খারাপ কেটেছে তার। তার ওপর আবার কনুই’র চোটে মাঠের বাইরে ছিলেন তিন মাস।
এতে দক্ষিণ আফ্রিকার যুক্তরাজ্য সফরে ছিলেন না বাভুমা। যেখানে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হয়েছে তার দল। ফলস্বরূপ, বাভুমা এ বছর মাত্র ৭টি টি-টােয়েন্টি খেলেছেন এবং ১০.২ গড়ে ৮২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৬৪ রান।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এটাই সবচেয়ে খারাপ বছর প্রোটিয়া অধিনায়কের। বড় মঞ্চে তাই বাড়তি চাপ কাঁধে নিয়েই নামতে হচ্ছে তাকে। সবকিছুই স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন বাভুমা, ‘একজন খেলোয়াড়ের উপর চাপ থাকবেই। আমি মনে করি সব খেলোয়াড়কেই সেই চাপের সঙ্গে লড়তে হবে। হ্যাঁ, এটা বিভিন্নভাবে আসে। অধিনায়ক হলে সবার চোখ আপনার উপর থাকবে। আপনার পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্ব সবকিছুই সমলোচনায় থাকবে।’
এমএমএ/