জয়টা খুবই প্রয়োজন ছিল
সময় খারাপ গেলে যা হয়। টি-টোয়েন্টিতে দুর্বল আরব আমিরাতও বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের করা ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকরা শেষ ওভার পর্যন্ত খেলাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল। এমন কি জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করেছিল। ২ উইকেট হাতে নিয়ে তাদের প্রয়োজন ছিল ১০ রানের। এ সময় ক্রিজে ছিলেন মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকা আরিয়ান। সঙ্গে ছিলেন জুনায়েদ। শেষ পর্যন্ত তারা দুজনেই পরপর দুই বলে আউট হয়ে গেলে প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতে পারে বাংলাদেশ। এমন জয়টা দলের জন্য ভীষণ প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন দলের নতুন ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমাদের একটা ম্যাচ জেতা দরকার ছিল। আমরা কালকে (২৫ সেপ্টেম্বর) ম্যাচটা জিতেছি। দলের ভেতরে ভালো একটা পরিবেশ ছিল। বিশেষ করে আমাদের কোচিং স্টাফ যারা ছিল তারা সবাই আমাদের এপ্রিসিয়েট করেছে।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যর্থতার অপর নাম ব্যটিং ভরাডুবি। আরব আমিরাতের বিপক্ষেও একই পথে হাঁটা শুরু করেছিল। সেখান দলকে উদ্ধার করেন আফিফ হোসেন ক্যারিয়ারের সেরা অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেলে। অবদান ছিল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানেরও। আফিফের ইনিংসের ভূয়সী প্রশংসা করে মিরাজ বলেন, ‘আফিফ খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। সোহান ভাই ভালো করেছে। তাদের সঙ্গে যারা ছোট ছোট অবদান রেখেছে তাদেরও করেছে (এপ্রিসিয়েট)। আমাদের যে জিনিসটা দরকার ছিল যে কীভাবে একটা ম্যাচ জিততে হবে এরকম চাপের মুহূর্তে। কারণ এর আগে আমরা এমন ম্যাচ অনেক হেরেছি। সুতরাং এ জিনিসটা আমাদের দরকার ছিল। এই জিনিসগুলো, ছোট জিনিস এ সব নিয়েও কথা বলা হয়েছে।’
এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইনিংসের উদ্বোধন করতে এসে মিরাজ নজর কেড়েছিলেন ৩৮ রানের ইনিংস খেলে। কিন্তু এই ম্যাচে আবার পারেননি। ১২ রানে আউট হয়ে যান। তবে রান বাড়ানোর তাড়া ছিল সব সময়। আউটও হয়েছেন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। নিজের ইনিংস ওপেন করা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘দেখেন টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছে। হয়ত তারা চিন্তা করেছে আমি ওপেন করলে ভালো হবে। আমি নিজেও চেষ্টা করছি, আমার অবদানটুকুও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ওপেনার হিসেবে আমার কাছ থেকে হয়ত অনেক বেশি রান আশা করা হয় না, তবে আমি যদি ছোট ছোট ইমপ্যাক্ট করতে পারি দলের জন্য ভালো হবে। সেভাবেই নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে চাচ্ছি এবং ভালো খেলার চেষ্টা করছি।‘
আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘দেখেন আমরা এখানে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছি, বিশ্বকাপের ভালো প্রস্তুতির লক্ষ্য। সে জন্য আমরা এখানে লাস্ট ২-৩ দিন অনুশীলন করে, একটা ম্যাচ খেলেছি। আমাদের ছোট ছোট যে ভুলগুলো ছিল আগের সে ভুলের পরিমাণ যেন কমিয়ে আনতে পারি সেটাই আমরা চেষ্টা করছি। পরের ম্যাচেও তাই প্রয়োগ করতে চাইবো।’
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর)।
মিরাজ মনে করেন আরব আমিরাতের বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতি পড়ে ম্যাচ জেতার মাঝে তাদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েকটা সিরিজে, এশিয়া কাপে আমরা কাছে গিয়ে হেরেছি। জিততে জিততে হেরে গেছি। কালকের পরিস্থিতি ওরকমই ছিল। কিন্তু আমাদের বোলাররা খুব ভালো কামব্যাক করেছে। এটা সবার ভেতরে বিশ্বকাপের জন্য আলাদা আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
এমপি/আরএ/