তিন পেসার এক স্পিনারের বাংলাদেশ
টেস্ট ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড দলগুলোকে আতিথ্য দিয়ে থাকে পেস আক্রমণ দিয়ে। চার পেসার থাকেন সেরা একাদশে। শনিবার (০১ জানুযারি) ভোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া টেস্টেও সেরা একাদশে চার পেসারই থাকছেন। সাইদি- বোল্ট-ওয়েগনার-জেমিসন। কিন্তু বাংলাদেশের সেই মানের পেস আক্রমণ কোথায়? দলে আছেন তাসকিন-খালেদ-এবাদত-আবু জায়েদদ-শরিফুল-শহীদুল। ছয়জন পেসার। কিন্তু তারা গুনে ও মানে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের আশেপাশেও নেই। তাইতো দলে ছয় পেসার থাকার পরও বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মতো একাদশে চার পেসার রাখবে না বা সাহস দেখাবে না। তিন পেসার নিয়ে সাজাবে একাদশ। সঙ্গে একজন স্পিনার। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
ডোমিঙ্গো বলেন, ‘ উইকেট এখনো দেখিনি। গ্রাউন্সম্যানের জন্য অপেক্ষা করছি। উইকেট দেখার পর একাদশের ব্যাপারে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নিবো। অবশ্য আমি আশা করছি ভালো একটা উইকেট পাব যেখানে প্রথম দিন কিছুটা ঘাস থাকবে। আমরা এমনভাবে দল সাজাবো যাতে উভয় রকমের ঘাটতি দূর করতে পারে। কিছুটা সীম, কিছুটা স্পিন। চতুর্থ ও পঞ্চম দিন উইকেটে স্পিন ধরতে পারে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন। ঐতিহাসিকভাবে আমাদের শক্তি স্পিন। কিন্তু আমাদের দলে এখানে সত্যিই কিছু ভালো সিমার আছে। তাদের নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। সত্যি কথা বলতে আমরা সম্ভবত তিনজন সিমার নিয়ে খেলতে নামবো। আমরা ভারসাম্যপূর্ণ আক্রমণ নিয়ে নামবো। আপনি শুধু সিমার দিয়ে ভরসা করতে পারবেন না। একজন স্পিনারও থাকবে সেরা একাদশে।’
নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ এমনিতেই ভালো করতে না পারার পাশাপাশি যোগ হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চরমভাবে ব্যর্থতাও। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো দেখছেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এ সময় উন্নতি করেছে! যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টি বিঘ্নিত টেস্ট ম্যাচ আড়াই দিনে নেমে এসেছিল। যেখানে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। কোচের দৃষ্টিতে, ‘কয়েক মাস আমাদের খুবই কঠিন গিয়েছে। আমি মনে করি টেস্ট দল হিসেবে আমরা উন্নতি করছি। ফলাফল নাও দেখাতে পারে। আমরা আরও ভালো টেস্ট ক্রিকেট খেলছি। এখানে আমাদের এক বা দুজন বড় খেলেয়াড় না থাকাটা আদর্শ নয়। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা আছে, যারা নিউজিল্যান্ডে টেস্ট খেলেনি। অতীতের রেকর্ড তাদের দাগ কাটবে না। এটাকে আমাদের ইতিবাচক হিসেবে দেখতে হবে। নিউজিল্যান্ডে আমাদের রেকর্ড ভালো নেই। কিছু তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য ভালো করার এটি একটি সুযোগ।
নিউজিল্যান্ডে যখন বাংলাদেশ দল আসে তারা বেশ আগেই চলে আসে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য। এবারো গিয়েছিল। তবে কোয়ারেন্টিনের বিষয়টিও ছিল। দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ করোনায় আক্রান্ত হলে দলের সবার কোয়ারেন্টিন সময় বেড়ে যায়। যে কারণে এবার বাইরে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে কম। তারপরও দুই দিনের প্রস্ততি ম্যাচে ব্যাাটিং ও বোলিং দুই বিভাগে ভালো করাটাকেও কোচ ডোমিঙ্গো দেখছেন পূর্ণিমার চাঁদ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ-অর্ডারের কেউ কেউ আগে নিউজিল্যান্ডে খেলেনি। বাউন্সে অভ্যন্ত হয়ে ১০ দিনের অনুশীলন ও ওয়ার্মআপ খেলায় সুবিধা হয়েছে। দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলায় খেলোয়াড়দের জন্যও লাভজনক ছিল।
এমপি/এসআইএইচ