জাতীয় দলের ভূত ‘এ’ দলেও
জাতীয় দলের ব্যর্থতার ভূত এসে ভর করেছে ‘এ’ দলেও। জাতীয় দল টেস্টে ব্যর্থ, টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ। ব্যর্থ হয়েছে জিম্বাবুয়ে সফরে গর্বের ওয়ানডেতেও। এদিকে ‘এ’ দলকে পাঠানো হয়েছে উইন্ডিজ সফরে। মূলত জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এবং জাতীয় দলের আশে-পাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়েই গড়া ‘এ’ দল। যাতে জাতীয় দলের প্রয়োজনে এখান থেকে খেলোয়াড় সাপ্লাই দিয়ে জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো যায়। কিন্তু তারা জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগবেন কি? এখন তাদেরই অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে।
উইন্ডিজ সফরে প্রথম একদিনের ম্যাচে তারা যাচ্ছেতাই রকমের বাজে খেলে হেরেছে চার উইকেট। হারের ব্যবধান দেখে মনে হবে চার উইকেটে হার এমন কী আর বাজে খেলা? কিন্তু যখন স্কোর বোর্ডের দিকে চোখ পড়বে, তখনই চোখ কপালে উঠে যাবে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা মাত্র ৮০ রানে অলআউট হয়ে যায়। ওভার খেলে ২৩.২টি। জবাব দিতে নেমে বোলাররা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললে স্বাগতিকরা আর সহজে জয় পায়নি। ২৩.৩ ওভার খেলে ছয় উইকেট হারিয়ে করে ৮১ রান। ১০০ ওভারে খেলা এক সেশনের আগেই শেষ। তিন ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল ১৮ আগস্ট প্রথম ম্যাচের ভেন্যু সেন্ট লুসিয়াতেই।
সফরে চার দিনের দুইটি ম্যাচই ড্র হয়েছিল। তবে এখানে বৃষ্টির কারণে খেলাই অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছিল, তাতে করে ম্যাচ বাঁচানোই কঠিন হয়ে পড়ত?
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেটে হয়ে উঠেন কচু পাতার পানি। শামিল হন আসা-যাওয়ার মিছিলে। সেই মিছিল এমনই লম্বা হতে থাকে যে ৫০ রানেই হারাতে হয় আট উইকেট। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ৮০ রান পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হয়েছিল জাকের আলীর ২৫ রানের ইনিংসে ভরে করে। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ১৫ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১২ রান করেন। আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করতে পারেননি। দীর্ঘ তিন বছর পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সাব্বির রহমান করেন মাত্র তিন রান। বাংলাদেশের তিন জন ব্যাটসম্যান কোনো রান করতে পারেননি। উইন্ডিজের জাস্টিন গ্রেভেসে ২৫ রানে নেন চার উইকেট। দুইটি করে উইকেট নেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও শেরমন লুইস।
টার্গেট কম। উইন্ডিজের দুই ওপেনার টেগেনারায়ন চন্দরপল (২৩) ও অধিনায়ক জসুয়া ডি সিলভা (১৯) যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল তারাই জয় এনে দেবেন। ৩৪ রানে জুটি ভেঙে যাওয়ার পর তাদেরও উইকেটের মড়ক লাগা শুরু হয়। মৃত্যুঞ্জয় এক ওভারে জোড়া আঘাত হেনে ফিরিয়ে দেন জসুয়া ডি সিরভা ও টেডি বিশপকে (০)। এরপর মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ফিরিয়ে দেন টেগেনারায়ন ও টেভিন ইমলিচকে (৫)। বল হাতে তুলে নিয়ে রকিবুল ও সৌম্য সরকারও উইকেট পেয়ে যান একটি করে। শেষ পর্যন্ত তাদের ছয় উইকেটের বেশি আর হারাতে হয়নি।
এমপি/আরএ/