শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিতর্ক আর সাকিব একটি আরেকটির পরিপূরক!

এটি আর নতুন করে কিছু বলার নেই। ২২ গজের সাকিব এক রকম। মাঠের বাইরে আরেক রকম। ২২ গজের সাকিব সবার মধ্যমনি। এটি তিনি অর্জন করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতা দিয়ে। ক্রিকেটার সাকিবের এই গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে এতোই বেশি যে কারও কারও কাছে তিনি পরিবারের সদস্যের মতো। অনেকেই তাকে ভালোবেসে বলে ‘বাংলার জান, সাকিব আল হাসান।’ মাঠের ক্রিকেটার বিশ্ব নন্দিত সাকিবকে নিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেও গুণকীর্তন শেষ করা যাবে না। কিন্তু মাঠের বাইরের সাকিবও কম যান না। তবে তা মানুষের ভালোবাসায় নয়, বিতর্ক আর সমালোচনায়। সাকিব আর বিতর্ক যেন একটি আরেকটির পরিপূরক!

মাঠে নামলে যেমন তিনি রান করতে ভালোবাসেন। উইকেট পেতে পছন্দ করেন। তেমনি মাঠের বাইরে একটার পর একটা বিতর্ক সৃষ্টি করতে তিনি সিদ্ধহস্ত। এই বিতর্কের তালিকায়ও বেশি লম্বা। এর কোনটি তিনি ভুলে বা অজ্ঞাতে বা হিট অব দ্যা মোমেন্টে করলেও অধিকাংশই তিনি করেছেন জেনে-শুনে-বুঝে। এসব করতে গিয়ে তিনি যেমন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হয়েছেন তেমনি বিসিবি কর্তৃকও। আইসিসিরটা ছিল এক বছরের জন্য। বিসিবিরটা ছিল রকম ফের। কখনো ছয় মাসের জন্য আবার কখনো কয়েকটি ম্যাচের জন্য। কখনো শুধু মৌখিকভাবে সতর্ক বা কারণ দর্শানোর মাঝে।

এসব ক্ষেত্রে সাকিব অধিকাংশ সময় ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে অল্পতেই পার পেয়ে গেছেন। সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আর কখনো এ জাতীয় কাজ  না করার। সাকিব এখানে অবশ্য নিজের কথা রেখেছেন? তিনি একই  বিতর্ক বা ভুল আর করেননি। কিন্তু নতুন করে বিতর্ক বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। যার সর্বশেষ নজির বিশ্বব্যাপী জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠান বেটউইনারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি। এবার সাকিব কোনো সাজা না পেলেও আর এ জাতীয় ভুল না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা কিছুদিন পর সাকিবের নতুন বিতর্ক দেখার! এক নজরে দেখে আসা যাক সাকিবের অতীতের ভুল বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনাগুলো।

এক. সাকিব প্রথম সাজা পান ২০১৪ সালে এশিয়া কাপের আসরে মিরপুরে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা চলাকালীন একটি ম্যাচে তিনি নিজের বিশেষ অঙ্গ অশ্লিলভাবে ইঙ্গিত প্রদশর্ন করেন। যা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার হয়। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার এক পর্যায়ে তিনি তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

দুই. একই বছর বিসিবির অনুমতি না নিয়েই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ( সিপিএলে)  খেলতে গিয়ে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।

তিন. ২০১৫ সালে বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে সিলেট সুপার র্স্ট্যাসের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ার তানভীরের একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সীমা লঙ্ঘন করে সাকিব এক ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল ২০ হাজার টাকা জরিমানা।

চার. ২০১৯ সালে আইসিসি থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেনর সাকিব । এ ছাড়াও তার ছিল স্থাগিত এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা অবশ্য সাকিবকে পেতে হয়নি আইসিসির নির্দেশনা মেনে এক বছরের সাজা ভোগ করাতে। সাকিব এবার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এক জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করার অপরাধে। এ সময় বিসিবি সাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

পাঁচ. ২০২১ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে মোহামেডানের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে একটি ম্যাচে আম্পায়ার ইমরান পারভেজের একটি  সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাকিব লাথি দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে ফেলেন। পরে তাকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে হয়। সঙ্গে ছিল পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও। পরে সাকিব এই  ঘটনায় নিজের ফেসবুক পেইজে ক্ষমাও চান।

কৃতকর্মের জন্য সাকিবের সাজা পাওয়ার এসব ঘটনা ছাড়াও দর্শক পিটিয়ে, দর্শকদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে, করোনাকালে কোয়ারেন্টাইন না মেনেও বিতর্ক সৃষ্টি করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। চোখ রাখা যাক সেই সব ঘটনাগুলোর দিকে।

এক. ২০১০ সালে সাকিব প্রথম বিতর্কের সৃষ্টি করেন। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের  একটি ম্যাচ চলাকালে সাইডস্ক্রিনের পাশে এক দর্শকের নড়াচড়াতে তার ব্যাটিং করতে মনযোগ নষ্ট হচ্ছিল। এ কারণে তিনি  হঠাৎ ব্যাট উঁচিয়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে গিয়ে সেই দর্শককে শাসান।

দুই. ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে বিজয় দিবস টি টোয়েন্টি আসরে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের খেলা চলাকালীন সাকিবের কাছে এক দর্শক অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন। কিন্তু সাকিব অটোগ্রাফ দিতে রাজি হননি। এতে সেই দর্শক মনের কষ্ট থেকে সাকিবকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি  করেছিলেন। তা শুনতে পেরে সাকিব পরে গ্যলারিতে গিয়ে ওই দর্শকের কলার চেপে ধরেছিলেন।

তিন. ২০১৪ সালে সাকিব দুইবার নিষিদ্ধ হওয়া ছাড়াও আরও একটি ঘটনায় দর্শক পিটিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন। ভারতের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচের সময় কয়েকজন দর্শক সাকিবের স্ত্রী শিশিরকে উক্ত্যক্ত করার ঘটনা জানতে পেরে সাকিব আইসিসির নিয়ম ভেঙ্গে ড্রেসিং রুম থকে বের হয়ে গিয়ে নিজেই সেই দর্শকদের একজনকে পিটিয়েছিলেন। শুধু মেরেই ক্ষান্ত হননি সাকিব। পরে এই ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। কিন্তু আইসিসির নিয়ম ভঙ্গ করে খেলাচলাকালীন ড্রেসিং রুম ত্যাগ করায় সাকিবকে কোনো রকম জবাবদিহি করতে হয়নি!

চার. ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো খেলতে যান সাকিবরা। সে সময় তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ দলকে পেয়ে অতিমাত্রায় উচ্ছাসিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছুটে এসেছিলেন উইন্ডিজের বিপক্ষে ফ্লোরিডাতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দেখতে। শেষ ম্যাচে সাকিবরা হোটেলে ফেরার আগেই দর্শকদের জটলা হয়ে যায়। লক্ষ্য  ছবি তোলা। গাড়ি থেকে নেমে একজন করে ক্রিকেটাররা ঢুকছিলেন। আর দর্শকরা হর্ষধ্বনি দিয়ে উঠছিলেন। যে যেভাবে পারছিলেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন। এরই এক পর্যায়ে সাকিব এক দর্শকের দিকে তেড়ে যান। তার এই তেড়ে যাওয়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

পাঁচ. ২০২১ সাল। গোটা বিশ্ব মরণঘাতী করোনার আঘাত ভয়ে তটন্থ। বিশ্বের অনেক অনেক বড় দেশসহ বাংলাদেশেও লকডাউন দেওয়া হয়েছে। বিদেশ যাত্রায় আছে নানান রকম বিধিনিষেধ। আছে দেশে আসার পর বাধ্যতামুলক কোয়ারেনটাইন পিরিয়ড। কিন্তু সাকিব তার থোয়াক্কা করেননি। বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় তিনি সড়ক পথে চলে যান ভারতে। বেনাপোল দিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার সময় এক ভক্ত তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চাইলে সাকিব সেই ভক্তের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলেন।

ছয়. সাকিব ভক্তের মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে বেনাপোল দিয়ে কলকাতা গিয়েছিলেন কালিপূজা উপলক্ষে একটি পূজাপণ্ডবের উদ্বোধন করতে। এটি নিয়েও তুমুল সমালোচনা হয়। মহসিন তালুকদার নামে একজন তার ফেসবুক আইডি থেকে সাকিবকে হত্যার হুমকিও দেন। এই  হুমকির  ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফেসবুক লাইভে এসে সাকিব ক্ষমা চান। ফেসবুকে লাইভে তিনি বলেছিলেন, ‘ ঘটনাটি অবশ্যই খুব সেনসিটিভ। আমি বলতে চাই, আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান হিসেবে মনে করি এবং আমি সেটাই চেষ্টা করি মনে করার। ভুল-ত্রুটি হবেই এবং ভুল-ত্রুটি নিয়েই আমরা আসলে জীবনে চলাচল করি। আমার কোনও ভুল হয়ে থাকলে আমি অবশ্যই আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি কিংবা আপনাদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্য ক্ষমা  প্রার্থনা করছি।’

সাত. ২০২১ সালে বিদেশ থেকে এসে সাকিব জৈব্য সুরক্ষা বলয় মানেননি। তিনি  মোহামেডানের হয়ে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করার সময় তাকে বোলিং করেন জৈব্য সুরক্ষা বলয়ে না থাকা এক বোলার। পরে এ ঘটনায় সাকিব ক্ষমা চান। আরেকবার তিনি একইভাবে বিদেশ থেকে এসে কোয়ারেন্টাইন না মেনে একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের দূত হওয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সমালোচিত হন।

 এসব ছাড়াও সাকিব ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অফিসিয়াল ফটোশেসনে দেশে থেকেও মিরপুর এসে চলে গিয়েছিলেন ছবি না তুলেই। এটিও তাকে সমালোচনার কাঠগড়ায় তুলেছিল। আবার কোনো কারণ ছাড়াই ২০১৭ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ খেলতে না যেতে চেয়ে ছয় মাসের ছুটি চেয়েছিলেন। তার এ রকম মানসিকতার জন্যও সমালোচনা হয়েছিল। একইভাবে গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিনশিপ না খেলে সাকিব আইপিএল খেলার জন্য ছুটি চেয়েছিলেন। এটিও তাকে বিতর্কের কাঠগড়ায় তুলেছিল। এ ছাড়া জাতীয় দলের হয়ে প্রায় সময় না খেলে ছুটি চাওয়াটাকে সাকিব অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন!

এমপি/এসআইএইচ
 

Header Ad
Header Ad

কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কেউ যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়, তবে দেশের মানুষ তাকে কঠোর হস্তে দমন করবে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর পল্টন ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, “বাংলাদেশ এখন একটি উন্মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে রমজানুল মোবারক উদযাপন করছে। অতীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগগুলো সফল হবে।”

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। ইসলামবিরোধী কোনো কালচারকে এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে একজন রূপান্তরিত পুরুষকে অদম্য নারী হিসেবে সম্মাননা দেওয়া দেশের কৃষ্টি-কালচারের অবমাননা।

মামুনুল হক নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনি ব্যবস্থার শক্তিশালী করার দাবি জানান। এছাড়াও তিনি অতীতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মাগফিরাত কামনা করেন।

ইফতার মাহফিলে জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ মোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, একটি রিভলবার, ২টি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের একমাত্র দীর্ঘতম নবনির্মিত ‘যমুনা রেল সেতু’ ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ।

যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত H.E. MR. SAIDA SHINICHI Ges MR. ITO TERUYUKI, DIRECTOR GENERAL SOUTH ASIA DEPARTMENT, JICA প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখবেন- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো: আফজাল হোসেন।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ঢাকা প্রকাশকে এ বিষয়টি জানান।

মাসউদুর রহমান বলেন- আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের যমুনা রেল সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর শুভ উদ্বোধনের আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবে এবং ১১ টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে বেলা ১২ টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবে।

তিনি আরও বলেন- উদ্ধোধনের একদিন পর অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) গুণতে হবে যাত্রীদের।  যা উদ্বোধনের একদিন পর ১৯ মার্চ থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেউ দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হলে দেশের মানুষ কঠোর হস্তে দমন করবে: মামুনুল হক
সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার
‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা