রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

এশিয়া কাপে সেমিতে বিদায় বাংলাদেশের যুবাদের

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলেও এশিয়া কাপের শিরোপা কখনোই জেতা হয়নি বাংলাদেশের। এবার বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার পাশাপাশি এশিয়া কাপের শিরোপা জেতা-এই দুই মিশন নিয়ে বাংলাদেশ দল প্রথমে গিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সেখান থেকে ভান্ডারে এশিয়া কাপের শিরোপা ভরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বে। কিন্তু এশিয়া কাপের শিরোপা অধরাই থেকে গেছে। সেমি ফাইনালে ভারতের কাছে ১০৩ রানে হেরে খালি হাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজরে উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বে।

ভারতের ৮ উইকেটে ২৪৩ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৪০ রানে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ভারত দুবাইতে ফাইনাল খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ভারতের কাছে ফাইনালে ২০১৯ সালে ৫ রানে হেরেছিল। অপর অপর সেমিতে শ্রীলঙ্কা ২২ রানে পরাজিত করে পাকিস্তানকে।

শারজাহতে টস জিতে বাংলাদেশের দলপতি আকবর আলী বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের সংগ্রহকে ২৪৩ রানে আটকে রাখেন। ওয়ানডে ক্রিকেট বিবেচনায় এই রান খুব বেশি নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন বিবেচনায় কঠিনই ছিল বলা যায়। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের দিকে তাকালে সে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে উঠে। নেপালের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান প্রতিপক্ষ বিবেচনায় কিন্তু আত্মতুষ্টিতে ভোগার নয়। কুয়েতের বিপক্ষে ২৯১ রান সংগ্রহ করলেও এমন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের অলআউট হওয়া ছিল ব্যাটিং দূর্বলতারই নামান্তর। তারই প্রতিফলন দেখা গেছে সেমিতে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১৪০ রানে অলআউট হওয়ার মাধ্যমে।

ভারতের রবি কুমার, রাজ বাভা, ভিকি রাজবর্ধনের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মোটেই সুবিধা করতে পারেননি। শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয় ছিল লাল-সবুজের। শতরানের আগেই হারায় ৭ উইকেট। গ্রুপ পর্বের দুই সেঞ্চুরিয়ান প্রান্তিক নওরোজ নাবিল (১২) কিংবা মাহফিজুল ইসলাম (২১) কেউই রানের চাকা সচল করতে পারেননি। দলীয় ৫০ রানেই এই দুইজনসহ চারজনকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। এই বিপর্যয় পরে ফাইনালে যাওয়ার আশা নিভে যায়। দেখার বিষয় হয়ে উঠে শেষ পর্যন্ত কতোদূর যেতে পারে বাংলাদেশ। কতোটা ব্যবধান কমিয়ে আনতে পারে হারের। এখানে কিছুটা সফল হয়েছে বলা যায় দল। ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মনে হয়েছিল শতরানের গন্ডি ওপার হতে পারবে না। সেখান থেকে দলের রান শতরান অতিক্রম করে, আবার হারের ব্যবধানও কমে আসে। আর এখানে এগিয়ে আসেন পাঁচে ব্যাট করতে নামা আরিফুল ইসলাম। সপ্তম উইকেট জুটিতে তিনি আশিকুর জামানকে নিয়ে ১৯ রান যোগ করেন। এখানে আশিকুরের অবদানই ছিল ১৫। তিনি ২৩ বলে একটি করে চার ও ছয় মেরে এই রান করেন। আশিকুর আউট হওয়ার পর আরিফুল অষ্টম উইকেট জুটিতে নাঈমুর রহমানকে নিয়ে যোগ করেন আরও ২০ রান। নাঈমুরের অবদান ছিল মাত্র ৬। নবম উইকেট জুটিতে দলপতি রকিবুল হাসানকে নিয়ে আরিফুল যোগ করেন ৩৩ রান। এবারও আরিফুল অক্ষত থাকেন। রকিবুল আউট হন ৩২ বলে এক ছক্কায় ১৬ রান করে। অবশেষে আরিফুল আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সিন্ধুর একমাত্র শিকার হয়ে। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৪২ রান। তার ৭৭ বলের ইনিংসে ছিল মাত্র একটি চার।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৭ উইকেটে ২৪৩ রান দাঁড় করালেও শুরুতে ছিল চাপে। ২০ ওভার শেষে রান ছিল ২ উইকেটে ৫৭। ভারতের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারি রশিদ ১০৮ বলে অপরাজিত ৯০ রান করলেও ২০ ওভারের সময় তার রান ছিল ৪২ বলে ২১ রান। পরে এই রশিদই রানের চাকা সচল করতে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন। তাতে ছোট ছোট অবদান রেখে সহায়তা করেন ইয়াস ধুল ( ২৯ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ রান) রাজ ভাবা ( ৪০ বলে ২৩ রান)। শেষের দিকে ঝড় তুলেন রাজবর্ধন ও ভিকি। রাজবর্ধন ৭ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৬ রান করেন। ভিকি ১৮ বলে ৩ চারে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। মেষ ৫ওভারে তারা ৫০ রান যোগ করে। বাংলাদেশের হয়ে রকিবুল হাসান ৪১ রানে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান, নাঈমুর রহমান, মেহরব ও আরিফুল ইসলাম।

 

এমপি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম

পুলিশের ৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর। ছবি: সংগৃহীত

উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

অবসরে পাঠানো চারজন হলেন- এন্টি টেররিজম ইউনিট কর্মরত ডিআইজি মো. নিশারুল আরিফ, নৌ পুলিশের কর্মরত ডিআইজি মো. আব্দুল কুদ্দুছ আমিন, হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত ডিআইজি মো. আজাদ মিয়া, এনডিসি ও আমেনা বেগম।

 এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে এই চারজনকে অবসর প্রদান করা হলো। 

তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। 

এর আগে বিতর্কিত শেষ তিন সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা তিন সচিবসহ ২২ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো হয়। গত বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক