মাহমুদউল্লাহকে দলে নেওয়া ও পাপনের ব্যাখ্যা
জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দল নিয়ে রীতিমতো সার্কাস হয়েছে। যে মাহমুদউল্লাহকে নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং বাজে ফর্মের কারণে অধিনায়কত্ব ও দল দুই জায়গায়ই রাখা হয়নি।
বিসিবি থেকে বলা হয়েছিল বিশ্রাম। সেই মাহমুদউল্লাহর বিশ্রামের মেয়াদ ছিল আশ্চর্যজনকভাবে মাত্র দুই ম্যাচ! সফরের তৃতীয় ম্যাচেই তাকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। আসলে বিসিবি ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ, মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া নুরুল হাসান সোহান ইনুজরিতে পড়লে ১৫ জনের স্কোয়াড থাকলেও টিম ম্যানেজমেন্টকে দ্বারস্থ হতে হয়েছিল স্কোয়াডের বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহর দিকে।
এভাবে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে বিস্তার সমালোচনা হয়েছে। মাহমুদউল্লাহকে যে দলে নেওয়া হবে তা জানতেন-ই না বলে জানান বিসিবি সভাপতি। তিনি জেনেছেন শেষ মুহূর্তে।
মাহমুদ্ল্লাহকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘রিয়াদকে দলে নেওয়াটা শেষ মিনিটের সিদ্ধান্ত। আমি তো জানিই না। আমি জেনেছি একদম শেষ মুহূর্তে। যখন নাকি অলরেডি ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে রিয়াদকে স্কোয়াডে নেওয়া। তবে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, যেটা শুনতে পেরেছি-ওরা পাঁচ-ছয়ের জন্য খেলোয়াড় খুঁজছিল। ওই জায়গায় আমাদের কোনো ব্যাক আপ খেলোয়াড় ছিল না স্কোয়াডে একজনও না। তো সোহানের বিকল্প কে খেলবে? কারণ, ওদের কাছে ওপেনার আছে, কিন্তু ওই পজিশনে খেলার মতো কাউকে পাচ্ছিল না। কাজেই রিয়াদকে নিয়েছে। আমিও পরে চিন্তা করে দেখলাম, আমাদের এখানে আর কোনো প্লেয়ার নাই। মুনিমকে নামাতে পারত। আর কি অপশন ছিল? মিরাজ ছিল। কিন্তু ওকে কেনো নেয়নি। আমি বলতে পারব না।’
এভাবে মাহমুদউল্লাহকে দলে নেওয়াতে বিসিবি সভাপতি পজেটিভ দিকও দেখছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এটাতে একটা ভালো দিকও দেখি। অনেকের মধ্যে একটা চিন্তা-ভাবনা ছিল রিয়াদ বাদই পড়ল কি না টি-টোয়েন্টি থেকে। এই বিরতিটা যখন দেওয়া হলো। অনেক জায়গায় শুনেছি এই ধরনের কথা। এখনো যে বাদ পড়ে নাই, এটাও তো একটা ইঙ্গিত।’
এমপি/এমএমএ/