‘ম্যাসেজ একটাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তরুণদের নিয়ে দল গড়ার পর বিসিবির পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে সফরে দলের ফলাফল মূখ্য নয়। হারলেও সমস্যা নেই। ফলাফল যাইই হোক তরুণদের পরখ করে নিতে হবে। কিন্তু সেই তিনি সিরিজ হারের পর হতাশা ব্যক্ত করে জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হার তিনি কেন কেউই আশা করেননি। বুধবার (৩ আগস্ট) হারারেতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হতাশা তো অবশ্যই। জিম্বাবুয়ের কাছে হারব এটা তো আমরা কেউ আশা করিনি। আমাদের দল যেমনই থাকুক তারপরও আমি বলবো যে আমরা ভালো দল ছিলাম হয়তো। প্রমাণও করেছি। প্রথম ম্যাচে বোলাররা হয়তো ভালো বোলিং করেনি। কিন্তু আমরা ভালো চেজ করছিলাম। দ্বিতয়ী ম্যাচ আমরা জিতেছি। কাল ( মঙ্গলবার ২ আগস্ট) ম্যাচও কিন্তু আমরা ভালো অবস্থানে থেকে হেরেছি। এক কথায় বলতে গেলে এটি খুবই দু:খজনক।’
এভাবে হারের কোনো কারণ দাঁড় করাতে চান না খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এখানে আসলে কোনো কারণ দাঁড় করানোর কিছু নেই। আমরা ম্যাচুরড না, ইয়াং টিম বা এই ফরম্যাট বুঝি না। না বুঝার কিছু নেই। জয়-পরাজয়তো খেলারিই অংশ। কালকে আমরা যেভাবে হারলাম প্রসেসটা ঠিক করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওদের রান হওয়ার পর আমাদের কনফিডেন্ট লেবেল খুবই ভালো ছিল। ঐ কনফিডেন্ট নেয় আমরা ব্যাটিং করতে পারিনি। নাসুমের একটা ওভারে হয়তোবা খুব বেশি রান হয়েছে। কিন্তু এই উইকেট ১৫৬ রান চেজ করতে পারবো না, তা’হলে বড় দলের সঙ্গে যখন খেলবো, তখন আসলে কী হবে? এটা অবশ্যই কনসার্নের ব্যাপার। কোচরা আছেন তার এ নিয়ে কাজ করবেন।'
খালেদ মাহমুদ মনে করেন কোচরা যতোই কোচিং করান না কেন, ক্রিকেটারদের সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলে, ‘এখান থেকে আমাদের ভালো করার আরো সুযোগ রয়ে গেছে। এইটা আসলে কোচরা যতোই কোচিং করাক, আমি অনেকদিন কাছ থেকে দেখেছি মাথায় যদি আপনি এক্সিকিউট করতে না পারেন, তা’হলে কঠিন। কোচরা কাজ করছে না তা না। তারা অনেক চেষ্টা করছে। এখন দায়িত্ব আপনার। কিভাবে নিজেকে তৈরি করবেন?
খালেদ মাহমুদ মনে করেন এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘ম্যাসেজ একটাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যতোই অনুশীলন করেন লাভ হবে না। আপনাকে এক্সিকিউশেন করতে হবে। আপনি অনুশীলনে ক্যাচ ধরলেন। ম্যাচে গিয়ে চাপে পড়ে ফেলে দিলেন। এই চাপতো কোচ এসে ঠিক করে দিতে পারবে না। এটা আপনাকেই করতে হবে। কিভাবে করবেন সেটা সবচেয়ে বড় ব্যপার। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে পরিস্থিতি। দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল-আফিফ ম্যাচ শেষ করে এসেছে। এটা ছিল পাারফ্যাক্ট ব্যাটিং। সময় ছিল তারা তাড়াহুড়ার করেনি। সময় নিয়ে ব্যাটিং করেছে। কিন্তু কালকের (মঙ্গলবার) ম্যাচে কোনো একটা সময় আমাদের প্রয়োজন ছিল আক্রমণ করার। কিন্তু আমার মনে হয়েছে আমরা চার কোথায় মারবো, ছক্কা কোথায় মারবে যেন খুঁজে পাচ্ছিল না। আমাদের আট নম্বার ব্যাটসম্যান মেহেদি একটা ছয় মেরেছিল। আমরাতো এটা চাই না। আমরা চাই সাহসী ক্রিকেট খেলবে। যেটা বার্ল করলো। পুরো মোমেন্টামটাই পরিবর্তন হয়ে গেল। আমরা সাত/আট জন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলি। লিটন রান করেনি বলে যে টপ অর্ডার রান করবে না এটাতো ডিফিকাল্ট।’
এমপি/