'নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে খেলেছে ক্রিকেটাররা, দলের জন্য নয়'
একটা সময় মনে করা হত জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররা বোর্ডে আসলে ক্রিকেটের অনেক উন্নতি হবে। ক্রিকেটারদের সমস্যা সহজেই বুঝবেন। বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডে তিন তিনজন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আছেন। এদের মাঝে আকরাম খান ও নাঈমুর রহমান দূর্জয় বর্তমানে খুব একটা সক্রিয় নন। কিন্তু খালেদ মাহমুদ আছেন সর্বত্র। তিনি একদিকে যেমর অনারারি বোর্ড পরিচালক, আবার তেমনি বোর্ড থেকে আর্থিক সুবিধাধারীও। ইদানিং তিনি ক্রিকেটারদের যে কোনো ইস্যুতে বেশ চড়া গলায় কথা বলে থাকেন। সম্পুর্ণভাবে ক্রিকেটারদের বিরূদ্ধে কথা বলেন। অনেককে ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ করেন। তার দৃষ্টিতে শুধু ক্রিকেটারদের দোষ আর ত্রুটিই ধরা পড়ে। বোর্ড কিংবা নিজেদের যেন কোনো ত্রুটি নেই।
জিম্বাবুয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর খালেদ মাহমুদ সম্পূর্ণ দোষ দিয়েছেন ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটাররা দলের জন্য নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে খেলেছে বলেও মন্তব্য করতে ছাড়েননি।
আজ (৩ আগস্ট) জিম্বাবুয়ের হারারেতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুবই হতাশ। আমি এটা সম্পূর্ণ খেলোয়াড়দের দোষ দেবো। আমরা জানি যে আমাদের ১০/১২ রান করে লাগবে। তারপরও ওভারে ৬/৭ রান করে নিচ্ছি। কাউকে দেখলাম না যে চেষ্টা করছে ছক্কা মারার। সবাই ২/১ করে রান নিয়েছে।’
এরপরই তিনি করেছেন বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘ যদি ওইভাবে বলি নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য যে আমি মোটামুটি একটা রান করে আমাকে সেফ রাখলাম। আপনি যদি ১০০, ৯০ কিংবা ১১০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেন তাহলে আপনি এখানে তাড়া করে জিততে পারবেন না। আপনাকে ১৫৬ চেজ করতে হবে’।
তিনি বলেন দলের মধ্যে এতোটা ফ্লাক্সিবিলিটি আছে। এখানে কেউ হুট করে আসছে-যাচ্ছে না। সবাই জানে তাদের জায়গা স্টেবল। তাদের জায়গা নিয়ে কোনো কাড়াকাড়ি নেই। তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আসলে হয় না মন খুলে খেলা। সেই মন খুলে খেলাটা আমি দেখতে পাচ্ছি না। এখানে হারানোর কিছু নেই। কালকে জিতলেই এটা স্বাভাবিক ছিল। হারটাই অস্বাভাবিক হয়ে গেছে’।
এমপি/এএস