ফাইনালে সেই মধ্যাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) শেষ রাউন্ড শুরু হওয়ার আগে চার দলই ছিল ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে। শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল ১০ পয়েন্ট নিয়ে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ও ৯ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।
অপরম্যাচে দুই প্রতিপক্ষ ছিল ৮ পয়েন্ট নিয়ে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল ও ২ পয়েন্ট নিয়ে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। পয়েন্ট টেবিলের নিচের দুই দলের খেলা তিন দিনেই শেষ হয়ে যায়। উত্তরাঞ্চল ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয় অপর ম্যাচের ফলাফলের দিকে। যেখানে জয়-পরাজয়ে নিষ্পত্তি হলেই উত্তরাঞ্চলের জন্য ফাইনালের দরজা খুলে যেত। কিন্তু তাদের অপেক্ষা অপেক্ষাই থেকে গেছে। আশা পূরণ হয়নি।
নিষ্পত্তি হয়নি জয়-পরাজয়ে। ড্রতে শেষ হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ম্যাচ। আর এই দুই দলই এখন ফাইনালে খেলবে। লিগ পর্বের খেলা ৪ দিনের হলেও ফাইনাল খেলা হবে ৫ দিনের। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলা শুরু হবে ২ ডিসেম্বর।
রাজশাহীতে দুই দলের ম্যাচ যে ড্র ছিল তার আলামত দ্বিতীয় দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল। তৃতীয় দিন শেষে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল , যখন দুই দলেরই একটি করে ইনিংস শেষ হয়নি। মধ্যাঞ্চলের ৪৮১ রানের জবাব দিতে নেমে দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে আজ।
তিন সেঞ্চুরিতে তারা মধ্যাঞ্চলের রান ছাড়িয়ে যায়। অলআউট হয় ৪৯৪ রানে। ১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চল ৪ উইকেটে ৯৯ রান করে।
দক্ষিণাঞ্চল ৫ উইকটে ৩৮১ রান নিয়ে আজ খেলতে নেমেছিল। আগের দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন তৌহিদ হৃদয় (১২২) ও অমিত হাসান (১১৭)। এই দুই জন আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন। শেষ দিন সেঞ্চুরির তালিকায় নাম লেখান জাকির হাসানও। ৩৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে তিনি আউট হন ১০৯ রানে।
আজ তাদের ইনিংসে যে ১১৩ রান যোগ হয়েছে তার দুই তৃতীয়াংশ রানই আসে জাকিরের ব্যাট থেকে। দক্ষিণাঞ্চল আজ যোগ করে ১১৩ রান। সেখানে জাকিরের অবদান ছিল ৭১।
অবশ্য দক্ষিণাঞ্চলের সংগ্রহ যে এতো দূর যাবে, তার আলামত কিন্তু দিনের শুরুতেই ছিল না। ৩৮১ রান নিয়ে খেলতে নেমে মুকিদুলের আঘাতে মাত্র ৯ রান যোগ হতেই হারায় ৩ উইকেট। দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ৩৯০। সেখান থেকে দলের সংগ্রহকে ৪৯৪ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার মূল কারিগরই ছিলেন জাকির। সাথী হিসেবে পেয়েছিলেন রিশাদ হোসেন ও সুমন খানকে। রিশাদের সাথে নবম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫২ রান। রিশাদের অবদান ছিল ২১ রানের। তবে তাকে সেঞ্চুরি করতে মূখ্য ভুমিকা রাখেন শেষ ব্যাটসম্যান সুমন খান। ৪৪২ থেকে ৪৯৪ রান। ৫২ রান যোগ হয় শেষ জুটিতে। সুমনের অবদান ছিল মাত্র ৮ রানের। বল খেলেন ৩১টি। জাকির ১০৭ বলে সাত চারে হাফ সেঞ্চুরি করার পর সেঞ্চুরি করেন ১৭৭ বলে। আট চারের সাথে ছয় ছিল দুইটি। তাকে আউট করেন মোহাম্মদ মিঠুন। সরাসরি বোল্ড করেন তিনি। ইনিংসে মিঠুনের এই একটিই উইকেট ছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল বনাম বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল:
মধ্যাঞ্চল: ৪৮১ ও ৯৯/৪, ওভার ৩৬ ( সৌম্য সরকার ৪৩, তাইবুর রহমান ১৯* সালমান হোসেন ১৭, শুভাগত হোম ১১* রিশাদ হোসেন ২/৩০)
দক্ষিণাঞ্চল: ৪৯৪/১০ (আগের দিনের ৩৮১/৫), ওভার ১৫৮.৩ ( তৌহিদ হৃদয় ১২২, অমিত হাসান ১১৭, জাকির হাসান ১০৯, পিনাক ঘোষ ৭৪, রিশাদ হোসেন ২১*,নাহিদুল ইসলাম ১৮, ফরহাদ রোজ ১২, মুকিদুল ইসলাম৩/৬৬, নাজমুল ইসলাম ৩/১১৩, হাসান মুরাদ ২/১০২০)।
এমপি/এমএএ/