বাংলাদেশের একজন রায়ান বার্ল ছিল না!
একটি গ্লাসে অর্ধেক পানিতে ভরা, অর্ধেক খালি। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অর্ধেক পানি ভরা দেখে না, অর্ধেক খালিই দেখে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ম্যাচের জন্য অধিনায়কত্ব পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও গ্লাস অর্ধেক খালি দেখছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ রানে সিরিজ গচ্ছা দিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। যা ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের প্রথম সিরিজ জয়।
এভাবে সিরিজ হাত ছাড়া হয়ে যাওয়াতে মোাসদ্দেক জিম্বাবুয়ের ইনিংসে বাংলাদেশের করা ১৫তম ওভারকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই ওভার করেছিলেন নাসুম আহমেদ। তার সেই ওভারে রায়ান বার্ল পাঁচটি ছক্কা ও একটি চারে ৩৪ রান আদায় করে নেন। মোসাদ্দেক মনে করেন এই ওভারেই বাংলাদেশ হেরে গেছে। তিনি বলেন, ‘প্রথম ১৪ ওভার পর্যন্ত কিন্তু আামরা এগিয়ে ছিলাম পুরো গেমে। একটা ওভারে খেলার পুরো পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে বলে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে। সেই ওভারে ২০ রান হলে হয়তো আমরা ম্যাচের মধ্যে থাকতাম। টি-টোয়েন্টিতে তাড়াতাড়ি উইকেট হারাতে থাকলে চেজ করা কঠিন। টি-টোয়েন্টিতে আপনি প্রত্যাশা করতে পারবেন না যে গেলেন আর ম্যাচ জিতবেন, এই আশা করতে পারেন না। এখানে অবশ্যই ক্যালকুলেটিভ খেলা লাগবে, যেটা আমরা ব্যাটিংয়ে করতে পারিনি। সেই কারণেই আমরা ম্যাচ হেরেছি।’
মোসাদ্দেক নাসুমের ১৫ ওভার ‘ভিলেন’ বনিয়েছেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ে যখন চাপে ছিল, ১৩ ওভারে রান ছিল ছয় উইকেটে ৬৭। সেখান থেকে শেষ সাত ওভারে তারা সংগ্রহ করে ৮৯ রান। এ সময় তাদের একজন রায়ান বার্ল দাঁড়িয়ে যান। কিন্তু বাংলাদেশের কেউ রায়ান বার্ল হতে পারেনন। এমন কি অধিনায়ক মোসাদ্দেক নিজেও হতে পারেননি। প্রথম বলেই তিনি আউট হয়ে যান। মাহমুদউল্লাহ ৯.৪ ওভার ক্রিজে থেকেও রায়ন বার্ল হতে পারেননি। বরঞ্চ ২৭ বলে ২৭ রান করে দলকে ডুবিয়ে গেছেন। ডুবিয়েছেন এনামুল হক বিজয় ১৩ বলে ১৪ আর নাজমুল হোসেন শান্ত ২০ বলে ১৬ রান করে। শেষের দিকে আফিফ হোসেন ও শেখ মেহেদি হাসান যে চেষ্টা করেছিলেন, তার ছিটেফোঁটাও ছিল না এদের মাঝে। কিন্তু খুব মোটা দাগে সামনে নিয়ে আসছেন নাসুমের সেই ওভারকে।
নাসুমের সেই ওভার ছাড়াও মোসাদ্দেক হারের কারণ হিসেবে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের ‘মিডল’ অবস্থানকেও কাঠগড়ায় নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচ থেকে সরে যাচ্ছি মিডল ওভারে। বোলিংয়ের সময় দেখবেন মিডল ওভারে আমরা উইকেট বের করতে পারছি না। ব্যাটিংয়ের সময় একই হচ্ছে, মিডল ওভারে খেলায় যেভাবে রান করা দরকার সেভাবে হচ্ছে না। এ কারণে আমরা শেষের দিকে চাপে পড়ে যাচ্ছি। এ জায়গা যদি আমরা ভালোভাবে উন্নতি করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা এখান থেকে থেকে বের হয়ে আসতে পারব।’
এমপি/এসএন