শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে জিম্বাবুয়ের লড়াকু সংগ্রহ
সিরিজ নির্ধারণী অলিখিত ফাইনাল। খেলা হবে প্রথম ম্যাচের উইকেটে। যেখানে জিম্বাবুয়ে টস জিতে আগে ব্যাট করে তিন উইকেটে ২০৫ রান করে ম্যাচ জিতেছিল ১৭ রানে। যে কারণে টস জেতাটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নতুন বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নুরুল হাসান সোহানেরম মতোই জিততে পারেননি টস।
অগত্যা বোলিংই করতে হয়। যদিও তিনি জানিয়েছিলেন টস জিতলে বোলিংই করতেন! হয়তো তিনি উইকেট কিছুটা পড়তে পেরেছিলেন। যে কারণে জিম্বাবুয়েকে আর প্রথম ম্যাচের মতো রানের বন্যায় ভাসতে দেননি। আট উইকেটে তারা করেছে ১৫৬।
জিম্বাবুয়ে যে রান করেছে তাকে দুইভাবে দেখা যায়। এক. এর চেয়ে আরও বেশি রান হতে পারত। দুই. এর চেয়ে কম রানও হতে পারত। কম হওয়ার কারণ ১৩ ওভারে ৬৭ রানে পড়েছিল ছয় উইকেট। ওভারপ্রতি রান ছিল ছয়ের নিচে। দলে নেই আর সে রকম কোনো ব্যাটসম্যান। এ রকম অবস্থায় শেষ সাত ওভারে আর কতো রান-ই বা হবে? বড়জোর শতরান পার হবে। আবার অলআউটও হতে পারে! এ সময় ১০ ওভারে তারা ৩৮ রানে হারিয়েছিল এই ছয় উইকেট।
কিন্তু সপ্তম উইকেট জুটিতে রায়ান বার্ল ও জংওয়ে জুটি বাধার পর সে কি আস্ফালন ব্যাটিং! ছিন্নভিন্ন, লন্ডভন্ড হয়ে যায় জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। এই জুটি পরের পাঁচ ওভার খেলে রান যোগ করে ৭৯। ওভারপ্রতি ৫.১৫ করে আসা রান ১৮ ওভার শেষে গিয়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৮.১১। উইকেটে তখন দুই ব্যাটসম্যানের রুদ্রমূর্তি। পারলে প্রতি বলেই তারাচার-ছক্কা মারেন। যে নাসুম নিজের প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছিলেন, সেই নাসুম পরে দ্বিতীয় ওভার করতে এসে রায়ানের তোপে পড়ে পাঁচ ছক্কা আর এক চরে রান দেন ৩৪। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে নাসুমের এই রান তৃতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ৩৬ রান দেওয়ার রেকর্ড আছে স্টুয়ার্ট ব্রডের বরে যুবরাজের এবং আকিলা ধনাঞ্জায়ার বলে কিরন পোলার্ডের। আর বাংলাদেশি হিসেবে নাসুমের এই রানই সর্বোচ্চ। পরে নাসুমকে আর আক্রমণেই আনেননি অধিনায়ক।
১৩ থেকে ১৮ এই পাঁচ ওভারের বাকি চার ওভারে রান ছিল ৯, ১০, ১৭ ও ৯। কিন্তু হাসান মাহমুদের করা ১৯ নম্বার ওভারের প্রথম বলে জংওয়ে ও শেষ বলে রায়ান বার্ল আউট হয়ে গেলে শেষ দুই ওভারে রান আসে যথাক্রমে চার ও ছয়। এ সময় এই দুই ব্যাটসম্যান আউট না হলে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত। রায়ান ২৮ বলে ছয় ছক্কা ও দুই চারে ৫৪ রান করেন। হাফ সেঞ্চুরি করেন ২৪ বলে। জংওয়ে ২০ বলে দুই ছক্কা ও চার চারে করেন ৩৫ রান। দুই জনেই আউট হন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে।
শেখ মেহেদি হাসান ও হাসান মাহমুদ ২৮ রান দিয়ে দুইটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ ও মোসাদ্দেক ২২ রান করে দিয়ে
পান একটি করে উইকেট। নাসুমের মতো মাহমুদউল্লাহও প্রথম বলে উইকেট নেন একটি করে। দুই জনেই দুই ওভার করে বোলিং করেন। মাহমুদউল্লাহ আট ও নাসুম ৪০ রানে নেন একটি করে উইকেট।
এমপি/এমএমএ/