সামনে যেতে হলে সাইড বেঞ্চের শক্তি দেখতেই হবে
একদিনের সিরিজে উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেই বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে। এতে কিছুটা হলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের চরম ব্যর্থতা আড়াল হবে। প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর তামিম ইকবাল চেয়েছিলেন যারা খেলেনি তাদের পরখ করে নিতে। কিন্তু ঢাকা থেকে বার্তা যাওয়াতে তামিম ইকবাল আর সে পথে হাঁটতে পারেননি। পুর্ণ শক্তির দল নিয়ে নামার কারণ ছিল কিছুতেই ম্যাচ হারা যাবে না। কারণে পেছনে তাড়া করছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভয়াবহ ব্যর্থতা। শেষ ম্যাচে ‘সাইড বেঞ্চে’র শক্তি পরখ করতে না পারা নিয়ে তামিম ইকবাল বলেন, ‘এটা আমি অবশ্যই করতে চেয়েছিলাম। তবে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যখন কথা বলেছি, তখন তারা মনে করেছে যে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই নামা উচিত। আমরা সেটাই করেছি।’ শুধু তাইজুলকে খেলানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটাই পরিবর্তন করার কথা ছিল। কারণ আমরা জানতাম যে একই উইকেটে খেলব। তখন একজন পেস বোলারকে কমিয়ে তাইজুলকে খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়। আমি যে কথাটি বলেছিলাম, তা অবশ্যই আমার ইচ্ছা ছিল। তবে যেটা ম্যানেজমেন্ট বলেছে, তাতেও আমি ‘কনভিন্সড।’ দল যখন ভালো করছে, শেষটাও ভালোভাবে করা উচিত।’
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম। তাই তামিম চাইলেও নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। কিন্তু তিনি মনে করেন সামনে এগুতে হলে সাইড বেঞ্চের শক্তিও পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘সামনে যেতে হলে সাইড বেঞ্চের শক্তি দেখতেই হবে। নাহলে কীভাবে বুঝতাম তাইজুলের এই গুণ আছে, বা মোসাদ্দেকের বোলিংয়ের এই সামর্থ্য আছে। কোনো না কোনো সময় দেখতেই হবে। হয়তো একসঙ্গে পাঁচজনকে করবেন না, এক-দুই জন করে করতে হবে। ওয়ানডেতে বিশ্বের বড় দলগুলো কিন্তু এভাবেই করে। সিরিজ জিতলে খেলোয়াড় বদলায়। আমাদের আরেকটু সাহস দেখিয়ে করতে হবে। আবার আমরা এর আগে করিওনি। ফলে একটা দ্বিধা থেকে যায় সবসময়। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে আপনারা দেখতে পাবেন।’
এমপি/