তাইজুলের ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংয়ে উইন্ডিজের সংগ্রহ ১৭৮
উইকেট দেখে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বোলিং আক্রমণ বাড়াতে দলে স্পিনার একজন বাড়িয়ে দুই বছর পর আবার দলে ফিরিয়ে আনেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে। টানা তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্তকে অর্থবহ করে তুলেন তাইজুল তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে। তারপরও অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের দায়িত্বশীল ৭৩ রানের ইনিংসে উইন্ডিজ শুরুর ধাক্কা সামলে ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রানে অলআউট হয়েছে। তাইজুল ২৮ রানে নেন ৫ উইকেট।
শেষ ম্যাচে সেরা একাদশে ব্যাপক পরিবর্তন বা যারা খেলেননি তাদের পরখ করে নেয়ার যে অভিলাষ ব্যক্ত করেছিলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল, তার সে ইচ্ছে শেষ পর্যন্ত পূরন হয়নি। শুধুমাত্র একটি পরিবর্তন এনেছিলেন সেরা একাদশে। শরিফুলকে বাদ দিয়ে তাইজুলকে নিয়ে আসেন সেরা একাদশে। ১০ বছর পর বাংলাদেশ একজন পেসার নিয়ে খেলতে নামে। এর আগে সর্বশেষ তারা এক পেসার নিয়ে খেলেছিল এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই মিরপুরে ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর।
তামিম যে একটি পরিবর্তন এনেছেন, সেখানেই শতভাগ সফল। কারণ তাইজুলই একা ধসিয়ে দেন উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইন। আগের দুই ম্যাচে তুরুপের তাস ছিলেন নাসুম আহমেদ। এই ম্যাচেও তাকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু এ দিন আর শুরুতে ত্রাস সৃষ্টি করতে পারেননি নাসুম। ফলে তার হাতে আর দ্বিতীয় ওভার বল তুলে দেননি। বদলি হিসেবে নিয়ে আসেন তাইজুলকে। প্রথম বলেই তাইজুল ব্রান্ডন কিংকে ফিরিয়ে দেন চমৎকার এক বলে বোকা বানিয়ে বোল্ড করে। পরের ওভারে শিকার করেন শাই হোপকে। নুরুল হাসান তাকে স্ট্যাম্পিং করে। এদিকে সফরের শেষ ম্যাচে এসে নিজেকে কিছুা ফিরে পান মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের তৃতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন সামার ব্রুকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। দলের রান তখন ৫.৩ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ১৬। মনে হয়েছিল এবার বুঝি উইন্ডিজ শতরানও পার হতে পারবে না। কিন্তু অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের দায়িত্বশীল ৭৩ রার্নে ইনিংস তাদের সেই লজ্জা থেকে রক্ষা করে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তিনি ক্যাসি কার্টিকে নিয়ে ২১.২ ওভারে ৬৮ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন। কার্টি (৩৩) আউট হওয়ার মাধ্যমে এই জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর নিকোলাস পুরান রভম্যান পাওয়েলকে (১৮) নিয়ে আবার জুটি গড়েন। এই জুটিতে ৩৪ রান আসার পর তাইজুল আবার আঘাত হেনে পাওয়েলকে ফিরিয়ে দিয়ে জুটি ভাঙ্গেণ। একটু পর তিনি আবার আঘাত হানেন কেমো পলকে (৬) আউট করে। কিন্তু নিকোলাস পুরান ঠিকই টিকে থাকেন। ৯৩ বলে ক্যারিয়ারের নবম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও ৭৩ রানে বোল্ড করেন তাইজুল ৭৩ রানে। সেই সঙ্গে তাইজুলের পূর্ন হয় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেয়ার কীর্তি। তাইজুলের সঙ্গে মোস্তাফিজ ২৪ ও নাসুম ৩৪ রানে নেন দুইটি করে উইকেট। মোসাদ্দেক ২৩ রানে নেন এক উইকেট।
এমপি/এএস