সেরা দল ঢাকার
বিপিএলের অষ্টম আসরে বলা যায় দেশি ক্রিকেটাররা এবার আকষর্ন হয়ে থাকবে। বিদেশি ক্রিকেটারদের লম্বা তালিকা থাকলেও সেখানে মান সম্পন্ন ক্রিকেটার ছিল না বললেই চলে। যেখানে দেশি ক্রিকেটাররা আকষর্ণ ছড়াবেন, সেখানে মাশরাফি-তামিম-রিয়াদ একই দলে খেলাতে আকষর্ন আরো বেড়ে যাবে। এই তিন ক্রিকেটার খেলবেন ঢাকা র্স্টাসের হয়ে। মাহমুদউল্রাহ রিয়াদ ছিলেন সরাসরি পছন্দের। ড্রাফট থেকে নেয়া হয় তামিম ও মাশরাফিকে। ড্রাফট শেষে ঢাকা স্টার্সই সেরা দল গড়েছে।
এই তিন ক্রিকেটারকে একই দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে মালিকাান সংক্রান্ত ঝামেলা। ঢাকা স্টার্সের মালিকানা পেয়েছিল রুপা ও মান গ্রুপ। কিন্তু তারা সময় মতো ৫ কোটি টাকার পে অর্ডার জমা দিতে না পারাতে তাদের মালিকানা বাতিল করে বিসিবি। সময় কম থাকায় বিসিবি নিজেরাই এর মালিকানা নিয়ে নেয়। আর এতে করে তারা গড়ে সেরা দলই।
দল গঠনে ছিলেন মাহমুদউল্লাহর সাথে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন ও সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিস। পরে প্রথম ডাকেই তামিম ইকবালকে দলে নেয়ার পর তিনি এসে দল গঠনে শরিক হন। প্রথম ডাক ছিল কুমিল্লার। তারা তামিম ইকবালকে দলে নেয়নি। দ্বিতীয় ডাক ছিল ঢাকার। তারা সুযোগ হাতছাড়া করেনি। তামিম ইকবাল যোগ দেয়ার পর সুমন-রিয়াদ-তামিম এই ত্রি রত্ন মিলে দেশি তারকা ক্রিকেটারদের একের পর এক নিতে থাকেন। ড্রাফট শেষে দেখা যায় তারাই গড়েছে সেরা দল।
বিদেশি কোটায় সরাসরি তিন ক্রিকেটার তার নিয়েছে শ্রীলঙ্কার ইসুরু উদানা, আফগানিস্তানের কাইস আহমেদ ও আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাহ জাদরান। এ ছাড়া ড্রাফট থেকে আরো নেয়া হয়েছে আফগানিস্তানের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ শাহজাদ ও ফজল হক ফারুকী। দেশি ক্রিকেটারদের মাঝে দলে ভিড়িয়েছে টি-টোযেন্টি স্পেশিয়ালিস্ট মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শুভাগত হোম, পেসার এবাদত হোসেন ও শফিউল ইসলাম, ব্যাটসম্যান শামসুর রহমানকে। এ ছাড়াও আরো আছেন আরাফাত সানি, জহুরুল ইসলাম, ইমরান উজ জামান।
দল নিয়ে তামিম ইকবাল জানান ক্রিকেটার নেয়ার ক্ষেত্রে বিসিবির পক্ষ থেকে তাদের ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। যে কারণে তারা ভালো মানের ক্রিকেটার দলে নিতে পেরেছেন। তামিম ইকবাল বলেন, ‘কিছু প্লেয়ার আমার পছন্দের ছিল তা আমি বলেছি। যেমন আফগানিস্তানের ওই পেসারটা এবার টি১০ লিগে ভাল করেছে এটা আমার সাজেশন ছিল। কিছু রিয়াদ ভাই সাজেস্ট করেছে। আর কিছু সুমন ভাই সাজেস্ট করেছে। সবচেয়ে বড় কথা বিসিবিকে ধন্যবাদ যে বোর্ড থেকে আমাদের এত অল্প সময়েও ভাল সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে খেলোয়াড়কে খুশি নেয়ার। এটা অনেক বড় বিষয়।’
দলে রিয়াদের সাথে তার সর্ম্পক নিয়ে তামিম বলেন, ‘দেখেন একটা বিষয় শেয়ার করি.আমরা তো মাত্র একরাতের মতো সময় পেলাম। তো আজ সকালেই রিয়াদ ভাই আমাকে কল করে বলল – তুই একটু জলদি আয়। তো এখানে আমি আর কি বলব বা কিভাবে বোঝাবো যে আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে। ‘ এ নিয়ে রিয়াদ বলেন, ‘ অনেক কিছুই আমার হাতে নেই। অনেকেই অনেক কিছু ভাবে। আমি সবসময় আমার তরফ থেকে বিশ্বাস করতাম যে বন্ডিং বা রিলেশন সবসময়ই ভালো ছিল।
বিপিএলে কখনো তামিম-মাশরাফি-রিয়াদ এক সঙ্গে খেলেননি। আর খেলার উপায়ও ছিল না। কারণ তিনজনই থাকতেন আইকন ক্রিকেটার। জাতীয় দল ছাড়া এক সঙ্গে খেলা হয়নি আগে। এবার এক সঙ্গে খেলার সুযোগ সৃষ্টি হওয়া নিয়ে তামিম বলেন, ‘ হ্যা এটা তো আমাদের জন্য দারুন একটা বিষয়। এ কারণে আমাদের দলটাও দারুন হয়েছে। আর আমরা তিনজন এক সঙ্গে থাকলে ড্রেসিংরুমে তো খুব মজা হবেই।‘ এ প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘সবসময়ই বিশ্বাস ছিল আবার একসাথে খেলতে পারব। আলহামদুলিল্লাহ আবার একসাথে খেলতে পারছি। তামিমও আমাদের সঙ্গে আছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা আমাদের টিমে বেশি তো আমি আশা করি মাঠে যদি এটা কাজে লাগাতে পারি আমাদের ভালো ফলাফল করার সম্ভাবনা আছে, বিশ্বাস করি। এটা আমরা সবসময় উপভোগ করি মাশরাফী ভাইয়ের সঙ্গে খেলা বা উনার অধীনে খেলা। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ যেটি হলো তখনও খুব ভালো সময় আমরা কাটিয়েছি এবং ভালো ক্রিকেটও খেলতে পেরেছি। আশা করি ওইরকম ভালো একটা পরিবেশ যেন এই দলেও তৈরি করতে পারি এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।
জাতীয় দলে এখনো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টি-টোয়েন্টি দলের ও তামিম ইকবাল ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। মাশরাফি কিছুদিন আগেও ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ওয়ানডে অধিনায়ক ছিলেন। তা’হলে কে হবেন অধিনায়ক? এ রকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এখানে আমি কিছু বলব না। কারণ রিয়াদ ভাই স্ট্যান্ডিং ন্যাশনাল টিম ক্যাপ্টেন টি-টোয়েন্টিতে, তো অবশ্যই তিনিই নেতৃত্ব পাওয়ার যোগ্য। আমাদের কাজ হল তাকে সাপোর্ট দেয়া।’
এমপি