স্পিন শক্তি বাড়াতে শরিফুলের জায়গায় তাইজুল
তাইজুল ইসলাম। ফাইল ফটো
আবাহাওয়ার পূর্বাভাসে ধ্রুমজাল সৃষ্টি হয়েছিল। প্রথমে তামিম ইকবাল বলেছিলেন সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়াতে এবং কোনো পয়েন্ট না থাকাতে শেষ ম্যাচে তিনি ‘বেঞ্চের’ শক্তি পরখ করে নিতে চান। কিন্তু কোচ ডোমিঙ্গো আবার সে পথে হাঁটতে চাননি।
এদিকে আবার জানা গেছে ঢাকা থেকে ম্যাসেজও গিয়েছে নো পরীক্ষা-নিরীক্ষা। জয়ের জন্য সেরা একাদশই মাঠে নামতে হবে। শেষ পর্যন্ত তামিম ইকবালের ইচ্ছে আর পূরণ হয়নি। সেরা একাদশ নিয়েই বাংলাদেশ মাঠে নামতে যাচ্ছে। পরিবর্তন এনেছে মাত্র একটি। সেটিও উইন্ডিজকে আরও বেশি করে কাবু করার জন্য। বোলিং আক্রমণের আরও ধার বাড়াত বাড়ানো হয়েছে স্পিন আক্রমণ। নাসুম-মিরাজ-মোসাদ্দেকের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে। বাদ দেওয়া হয়েছে শরিফুল ইসলামকে।
এর আগে বাংলাদেশ সর্বশেষ এক পেসার নিয়ে খেলেছিল ১০ বছর আগে। ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর মিরপুরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজই। একমাত্র পেসার ছিলেন শফিউল ইসলাম। উন্ডিজকে ২১৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতেছিল দুই উইকেটে। স্পিনার চারজন খেলালেও শফিউলই ছিলেন সেরা বোলার। ৩১ রানে তিনি পেয়েছিলেন তিন উইকেট।
শরিফুল গত দুটি ম্যাচে উইকেট নিয়েছিলেন পাঁচটি। প্রথম ম্যাচে ৩৪ রানে চার উইকেট নেওয়ার পর পরের ম্যাচে নিয়েছিলেন ৯ রানে এক উইকেট। এদিকে উইন্ডিজকে প্রথম ম্যাচে পেসার ও স্পিনাররা মিলে গিলে খেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শুধু স্পিনারই ধ্বংস করে দেন। তিন স্পিনার মিরাজ-নাসুম-মোসাদ্দেক মিলে নেন ৯ উইকেট। মিরাজ ২৯ রান চারটি, নাসুম ১৯ রানে তিনটি ও মোসাদ্দেক ৩৭ রানে নেন একটি উইকটে।
তাইজুল একদিনের দলেই ছিলেন না। সাকিব ছুটি নেওয়াতে তাকে দলে নেওয়া হয়। আসলে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কারণ টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালে সাকিব তখনো ওয়ানেড সিরিজ না খেলার কথা কিছু জানাননি। যদি সাকিব না খেলেন, তাহলে বাংলাদেশ থেকে কাউকে নিয়ে যাওয়া হবে কঠিন। পরে সাকিব যুক্তরাষ্ট্র চলে গেলেও তাইজুলকে দলে রাখার বিষয়টি কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়নি। সেই তাইজুল উইন্ডিজকে আরও ভয়ংকরভাবে বধ করার মিশনে হয়েছেন চতুর্থ অস্ত্র। সর্বশেষ তিনি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০২০ সালের ৬ মার্চ সিলেটে। এখন পর্যন্ত তিনি ৯ ম্যাচে খেলে উইকেট পেয়েছেন ১২টি। সেরা বোলিং ১১ রানে চার উইকেট। পেয়েছিলেন ২০১৪ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ সেরা একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত মাহমুদউল্লাহ, আাফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এমপি/আরএ/