শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিজয়কে নিয়ে মাতামাতির নেপথ্যে কী?

বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এনামুল হক বিজয় লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে হাজার রান করেন। ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেটে লিগে ৩ সেঞ্চুরি ও ৯ হাফ সেঞ্চুরিতে তার রান ছিল ১১৩৮। লিগে বিজয়ের এমন চোখ ধাঁধানো নৈপুণ্যের পর নির্বাচক থেকে শুরু করে বিসিবির কর্তা, সবার কাছেই ছুটে গিয়েছিল এই প্রশ্ন- জাতীয় দলে ফিরবেন কবে? তার এমন নৈপুণ্যে জাতীয় দলে ফেরার দরজা খুলে দেয়। কিন্তু তারপরও বিজয়ের জাতীয় দলে জায়গা নিয়ে সমস্য ছিল। তিনি খেলবেন কোথায়? খেলানো হবে কার জায়গায়? জবাব এসেছিল এ রকমই। বিজয় ওপেনার। টেস্ট দলে তামিম ইকবালের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয় আর ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বাকি ছিল টি-টোয়েন্টি। সেখানে তামিম ইকবাল খেলছেন না। আবার যারা খেলছন তারাও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। তাই বিজয়ের খেলার সুযোগ ছিল এ একটি জায়গাতেই। তবে একাদশে সুযোগ পাওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল তার দলে সুযোগ পাওয়াটা। নির্বাচকরা তার প্রতিদান দেন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে রেখে। এদিকে তিন ফরম্যাটেরই দলে থাকা ইয়াসির আলী সিরিজ শুরুর আগে ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেলে এনামুল হক বিজয়কে পরে টেস্ট দলেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও তার এই টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল?

উইন্ডিজ সফরে ইতিমধ্যে এনামুল হক বিজয় দ্বিতীয় টেস্ট ও তিনম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন। সেখানে তিনি আশাব্যাঞ্জক কিছু করে দেখাতে পারেননি। টেস্টের দুই ইনিংসে রান ছিল ২৩ ও ৪ আর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ করেছিলেন ১৬, ৩ ও ১০। এই দুইটি সিরিজেই বাংলাদেশ খুবই বাজে খেলেছিল। তাই ভালো করার আশায় বিজয়ের উপর নির্ভর করা হয়েছিল, ‘যদি লাইগা যায়।’ কিন্তু লাগেনি। যদিও বিজয়ের টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া, পরে সেরা একাদশে খেলা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ এই ফরম্যাটে তিনি একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন। আগের চার টেস্টের আট ইনিংসে তার রান ছিল মাত্র ৭৩। তাকে খেলানোর যৌক্তিকতা নিয়ে তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।

টেস্টের ব্যর্থতার পর ফাঁক থাকায় খেলেন পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। কিন্তু এখানেও চরমভাবে ব্যর্থ। সঙ্গে দলও। এরপর একদিনের সিরিজে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এই দুই ম্যাচে তাকে না খেলানোতে প্রশ্ন উঠেছে এবং সেই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের দাপুট দেখিয়ে ম্যাচ জেতার পরও। যদি বাংলাদেশ হেরে যেত, তখন এ প্রশ্ন উঠাটা ছিল যৌক্তিক। কিন্তু জেতার পরও প্রশ্ন উঠা দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের ফলাফল যাই হোক না কেন বিজয়কে খেলানোটা ছিল জরুরি। না খেলানোটা বিশাল অন্যায় হয়ে গেছে টিম ম্যানেজমেন্টের। অথচ তাকে কেন খেলানো হয়নি তার সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অধিনায়কের কথার প্রতিচ্ছবি যেন ভেসে উঠে কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর কথাতেও। তারপরও থেমে নেই বিজয়য়ের প্রসঙ্গেটি। এখন শেষ ম্যাচে তাকে যাতে খেলানো হয়, সেটি সামনে চলে এসেছে। যদিও যারা খেলেননি তাদের পরখ করে নিতে তামিমের দৃষ্টিভঙ্গিতে বিজয়ের খেলার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ডোমিঙ্গোর কথাতে আবার সেখানে পানি ঢেলে দেওয়া হয়েছে। ডোমিঙ্গোর প্রয়োজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবং সংখ্যায় যতো বেশি হবে তত ভালো। সেখানে বিজয় ডানহাতি।

কিন্তু প্রশ্ন হলো বিজয়কে না খেলানো নিয়ে কেন এতো মাতামাতি। স্টেডিয়াম পাড়ায় গুঞ্জন প্রিমিয়ার লিগে বিজয়ের এবারের পারফরম্যান্সে তাকে আগামী মৌসুমে বিশেষ একটি দলে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলে খেলার টোপ দিয়ে। বিজয়ও নাকি এতে রাজি হয়েছেন। যে কারণে আরও কয়কটি দল বিজয়কে বেশ মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আগামী মৌসুমের জন্য দলে নিতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। এ কারণেই নাকি তার টেস্ট দলে ডাক পাওয়া অতঃপর সেরা একাদশে খেলা। এবার একদিনের ম্যাচে তাকে খেলানো নিয়ে শুরু হয়েছে অদৃশ্য নাটক! এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সংগঠক বলেন, ‘এটি আর নতুন কী? লিগের সেরা পারফরমারকে এভাবে জাতীয় দলে খেলার লোভ দেখিয়ে নিজেদের ক্লাবে টেনে নেওয়া হয়। জাতীয় দলে খেলার সুযোগ কে হাতছাড়া করতে চায়। আর্থিক ক্ষতি হলেও অনেক ক্রিকেটার তা মেনে নেন।’

নাম প্রকাশ না করে বিসিবির এক পরিচালক বলেন, ‘এ রকম প্রস্তাব অনেকটা ওপেন সিক্রেটের মতোই। কোনো খেলোয়াড়কে এভাবে প্রস্তাব দিলে সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না কেউ। আর কেউ যদি এভাবে না যেতে চায়, তাহলে সেই ক্লাবের রোষানলে পড়তে হয় ক্রিকেটারকে। তাই অনেকে ইচ্ছায় হোক, আর না হোক, খেলে থাকে।’

বিজয় নাটকের শেষ দৃশ্য জানা যাবে আজই সন্ধ্যায়?

এমপি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টেবিলে থরে থরে সাজানো বই। কেউ জমা দিচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন। পড়া শেষে বাসার সেলফে পড়ে থাকা বই দিয়েও নিচ্ছেন আরেকটি পছন্দের বই। সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের প্রিয় বইটি। সঙ্গে আছে একাডেমিক ও ম্যাগাজিন সেকশন থেকে অফুরন্ত বই বিনিময়ের সুযোগ। কেবল বই দিয়েই বই বিনিময়, পুরো দিনটিই ছিল বই বিনিময়ের।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টা বিকাল ৫ টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে টাঙ্গাইলে এই প্রথমবারের মতো ‘বই বিনিময়’ উৎসবের আয়োজন করে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ নামের একটি সংগঠন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

উৎসব শুরুর পর থেকেই ব্যতিক্রমী এ বই বিনিময়ে বইপ্রেমী তরুণ-তরুণী ও কিশোর-কিশোরীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা যায়। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

এতে অতিথি ছিলেন- লেখক ও গবেষক অধ্যাপক বাদল মাহমুদ, লেখক ও গবেষক ড. আলী রেজা, অধ্যাপক আলীম আল রাজী ও প্রাবন্ধিক জহুরুল হক বুলবুল প্রমুখ।

‘বই হোক বিনিময়, বই জীবনের কথা কয়' - জানা যায়, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বইকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তোলা ও বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বই বিনিময় উৎসবটি। উৎসবে ছিল বইয়ের ৬টি স্টল এবং ২টি রেজিস্ট্রেশন বুথ। ছয়টি স্টলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই বিনামূল্যে বিনিময় করা হয়েছে। জানা যায়, উৎসবের পক্ষ থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয় এক হাজারের বেশি বই। সারা দিন প্রায় তিন হাজার বই বিনিময় হয়। 

এছাড়াও উৎসবে উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, গল্পগ্রন্থসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রায় সহস্রাধিক বই টেবিলে সাজিয়ে রেখেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বইগুলোর পরিবর্তে পাঠকরা তাদের ঘরে পড়ে থাকা বা সাজিয়ে রাখা বইটি বদলে অপঠিত বই নিয়েছেন, এটাই হচ্ছে বই বিনিময়। শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন বইয়ের খোঁজও করেছেন অনেকে। হাজারো বইয়ের ভিড়ে পছন্দের বইটি খুঁজে পেতে একজন বইপ্রেমীর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখকসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবটি পরিণত হয়েছিল মিলনমেলায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিবা রহমান বই বিনিময় করতে এসে বলেন, ‘ছোট থেকেই বই পড়তে ভালো লাগে। তাই আমার কাছে থাকা বই পড়া শেষে নতুন বই পড়ার আগ্রহ থেকে বই বিনিময় করতে এসেছি। এই উদ্যোগটা অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আমাদের মতো পাঠকেরা খুব উপকৃত হয়।’

সরকারি সা’দত কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন ‘আমার বন্ধু ফেসবুকের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বই বিনিময় উৎসবে। তাই ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠান দেখতে। এটা ব্যতিক্রম আয়োজন, খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে ’।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, ‘পড়া বই ঘরে না রেখে নতুন কিছু জানার আশায় বই বিনিময় করতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ এতে নতুন বই পড়তে টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে না। এরকম আয়োজন আরো হওয়া প্রয়োজন’।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও বই বিনিময় উৎসবের আয়োজক কামরুজ্জামান বলেন, বইকে পাঠকের কাছে সহজ করতে আমাদের এই উদ্যোগ যা থেকে নতুন প্রজন্মের পাঠক তৈরি হবে। এতে তরুণ ও কিশোররা স্মার্টফোন বিমুখ হয়ে বই পড়ার দিকে ধাবিত হবে। তাছাড়া অর্থ ব্যয় করে নতুন বই কেনার চেয়ে পুরোনো বই বিনিময়ের এই উৎসব পাঠের অভ্যাস বাড়াবে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুধীজনরা।

Header Ad
Header Ad

বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ড. কামাল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এত দিন এই সংবিধানের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে। জনগণ মেনে নিয়েছে। এখন সেটা ফেলে দিয়ে নতুন একটা সংবিধান করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়, গ্রহণযোগ্য নয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘৭২-এর সংবিধান ও প্রস্তাবিত সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানকে ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান করা—এটা সংস্কার নয়, এটা সংবিধানকে ধ্বংস করার একটা পথ।

সংবিধান পুনর্লিখন একটা ভুল ধারণা মন্তব্য করে এ সময় তিনি আরও বলেন, সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সংস্কার বিবেচনাযোগ্য। বিস্তর আলোচনার পর যদি ঐকমত্য হয়, তখন সংবিধান সংশোধন করা যায়।

আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য দেওয়ার আগে তার একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

সেই লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান জাতির সংগ্রামের ফসল। এটি কেবল আইনের একটি দলিল নয়, বরং আমাদের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। গত ৫ আগস্টের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়েছে যে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা কখনোই উপেক্ষা করা যায় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সংবিধানের যেকোনো পরিবর্তন ও সংশোধনে যেন দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঠিক প্রতিফলন হয় এবং নিশ্চিত করতে হবে যেন সংবিধানকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে।

সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতা বলেন, ব্যাপক পরামর্শ ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি এগিয়ে নিতে হবে। তা না হলে সংবিধানের কোনো পরিবর্তন ও সংশোধন জাতীয় কল্যাণ বয়ে আনবে না।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফাওজিয়া মোসলেম, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, আইনজীবী এস এম এ সবুর, আইনজীবী আবু ইয়াহিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পদে মনোনীত নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

আত্মপ্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায় তরুণদের রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট বড় দলে দলে আসছেন ছাত্র-জনতা। এরই মধ্যে জানা গেছে, দলটির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত হয়েছে। সেখানে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন দুজন করে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির ঘোষণা দেয়া হবে। প্রকাশ করা হতে পারে দলের লোগো-মনোগ্রাম-পতাকাও।

দলটির শীর্ষ দশ পদে রয়েছেন- আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিবা, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল), মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (উত্তরাঞ্চল), মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে সরকারপ্রধানের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন নতুন দলের উদ্যোক্তারা। নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরাও।

এদিকে, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শরিক ৩৬ রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত ৫১ দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অনুষ্ঠানে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই
বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা
দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন ছাত্র-জনতা
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে থাকবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও জাপা বাদে সব দল আমন্ত্রিত
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য আটক
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী
বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭ লাশ উদ্ধার
মধ্যরাতে শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই সব দোকান
‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ আত্মপ্রকাশ আজ, ৩ লাখ মানুষের সমাগমের প্রত্যাশা
মিয়ানমারে আটক ২৯ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য তারুণ্য উৎসবের আয়োজন
নতুন ছাত্রসংগঠন থেকে ২ নেতার পদত্যাগ
রাত পোহালেই বিএনপির নওগাঁ সদর ও পৌরসভা ভোট
দেশের বাজারে ফের কমলো সোনার দাম
চুয়াডাঙ্গায় গুণগতমানসম্পন্ন বীজ আখ উৎপাদন কৌশল ও ব্যবহারবিষয়ক দুদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত