এবার মাহফিজুলের শতকে বড় ব্যবধানে কুয়েতকে হারাল যুবারা
প্রথম ম্যাচে নেপালকে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে আজ কুয়েত অনুর্ধ্ব-১৯ দলকেও উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। শারজাহতে আজ কুয়েত কোনো রকম লড়াই করতে পারেনি।
বাংলাদেশ জয়ী হয়েছে ২২৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহফিজুল ইসলামের (১১২) শতকে বাংলাদেশ ২৯১ রান করে। যদিও তারা পুরো ওভার খেলতে পারেনি। ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে কুয়েক মাত্র ৬৪ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল নেপালের বিপক্ষে প্রান্তিক নওরোজ নাবিলের অপরাজিত ১২৭ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ২৯৭ রান করে ম্যাচ জিতেছিল ১৫৪ রানে। দুই জয়ে সেমিফাইনালের পথে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেল। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ২৮ ডিসেম্বর।
প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ের পরও আজ বাংলাদেশ সেরা একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনে। ফাহিম, তানজিম হাসান সাকিব ও আশিকুর জামানের পরিবর্তে খেলতে নামেন তাহবিজুল ইসলাম, মুশফিক হাসান ও রিপন মান্ডল। এ দিন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং অর্ডারেও অনেক পরিবর্তন আনা হয়। আগের ম্যাচে শতরান করা প্রান্তিক নওরোজ নাবিল তিনে ব্যাটিং করেছিলন। আজ তিনি সাতে ব্যাটিং করেন। তিনে ব্যাটিং করেন আইচ মোল্লা। আগের ম্যাচে সাতে ব্যাটিং করা আরিফুল ইসলাম এ দিন চারে ব্যাটিং করেন। দুই ওপেনার আর ছয়ে নামা মেহরবের ব্যাটিং অর্ডারে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেমের উদ্বোধনী জুটি ভাল করতে পারেন। ইফতেখার শুরুতেই ফিরে যান। কিন্তু আরেক ওপেনার মাহফিজুল তিন অংকের দেখা পেয়ে সাজ ঘরে ফিরেন। আইচ মোল্লা, আরিফুল, তাহজিবুল, মেহরবের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে তিনি দলের রানকে বাড়িয়ে নিতে থাকেন। তিনি যখন আউট হন তখন দলের রান ৫ উইকেটে ১৯৭। ১১২ বলে চার ছক্কা ও ১২ চারে ১১২ রান করে তিনি মুহাম্মদ ওমরের বলে আব্দুল সাদিকের হাতে ধরা পড়েন। মেহরাব খেলেন ঝড়ো ইনিংস। তিনি পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ২৪ বলে ৪২ রান করেন। এই দুই জন ছাড়া আর কেউ তেমন উল্লেখ যোগ্য রান করতে না পারলে বাংলদেশ পুরো ৫০ ওভোর খেলতে পারেনি। ৪৯.২ ওভারে ২৯১ রানে অলআউট হয়। কুয়েতের আব্দুল সাদিক ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট।
প্রতিপক্ষ হিসেবে কুয়েতের জন্য ২৯১ রান তাড়া করা খুবই কঠিন। একই অবস্থা ছিল প্রথম ম্যাচের নেপালেরও। নেপাল যাও কিছুটা সম্মানজনক রান করতে পেরেছিল, কিন্তু কুয়েতের ব্যাটসম্যানরা দাাঁড়তেই পারেননি। ব্যাটসম্যানরা শুধু আসা-যাওয়াতেই শামিল ছিলেন। দলীয় ১০ রানের আগেই বিদায় নেন তিন ব্যাটসম্যান। ৩২ রানে নেই সাত জন। এ সময় মনে হয়েছিল তারা অর্ধশত রানও করতে পারবে না। কিন্তু ওপেনার অধিনায়ক ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মিট ভাবসার একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করার বৃথা চেষ্টা করেন। অষ্টম উইকেট জুটিতে তিনি মির্জা আহমেদকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়ে দলের রানকে অর্ধশত পার করান। দলীয় ৬১ রানে এই জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর আবার ধস নামে। ২৫.৩ ওভারে ৬৪ রানে অলআউট হয় কুয়েত। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪৩ রানে করে আউট হন মিট ভাবসার। রকিবুরের বলে নাঈমুরের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ২৯১/১০, ওভার ৪৯.২ ( মাহফিজুল ১১২, মেহরব ৪২, তাগজিবুল ২৫, আরিফুল ২৩, রকিুবল ২১, আইচ মোল্লা ২০, আব্দুল সাদিক ৩/৪০, মুহাম্বমদ ওমর ২/৪৫, হ্যানরি থমাস ২/৪৮)
কুয়েত অনূর্ধ্ব-১৯: ৬৪/১০, ওভার ২৫.৩ ( মিট ভাবসার ৪৩, মির্জা আহমেদ ১১, রিপন মন্ডল ৩/ ১০, রকিবুল হাসান ২/৬, মেহরব ২/ ১৪,নাঈমুর ১/ ১৫, মুশফিক হাসান ১/১৯)