সিদ্ধান্ত মুমিনুলকেই নিতে হবে: জালাল ইউনুস
বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জেতার পর বাংলাদেশ আর সেই মান ধরে রাখতে পারেনি। আছে ধারাবাহিক হারের মাঝে। সবগুলো হারই আবার বড় ব্যবধানে। মাউন্ট মঙ্গনুই টেস্ট জেতার পর বাংলাদেশ পাঁচটি টেস্ট খেলেছে। এর মাঝে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টেস্ট ড্র করা ছাড়া বাকি সবগুলো টেস্টেই ছিল বড় হার। এই একটি হারের সঙ্গে আবার জড়িয়ে ছিল অধিনায়ক মুমিনুলের ব্যর্থতাও।
তার ব্যর্থতাও বাংলাদেশে এক একটি বড় হারের মতো মোটা দাগে ভরা। শেষ সাত ইনিংসে দুই অংকের ঘরেই যেতে পারেননি। তাই সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের হারের পাশাপাশি মুমিনুলের ব্যর্থতার বিষয়টিও সামনে চলে আসে। শ্রীলঙ্কার সিরিজের পর যা খুবই বড় আকার ধারণ করেছে। আগের সিরিজগুলোতে সরাসরি কোনো কিছু না বলা হলেও এখন প্রকাশ্যে মুমিনুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ অনেকেই মনে করেন এ রকম ব্যাটিং ব্যর্থতার পর যার দলের জায়গাই নড়বড়ে, সেখানে নেতৃত্ব দেওয়াটা কঠিন।
তারপরও মুমিনুলের অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে তাকে দল থেকে নয়, নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রশ্ন উঠেছে। আর এই প্রশ্ন উঠেছে তাকে চাপমুক্ত রাখতে। ব্যাটসম্যান মুমিনুলকে ফিরে পেতে। ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস মনে করছেন ফর্মহীনতার কারণে মুমিনুল ‘হীনমন্যতায়’ ভুগছে। আজ তিনি মিরপুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘হ্যাঁ, অধিনায়কত্ব একটা বাড়তি চাপ।
অধিনায়ক হয়ে যখন রান করতে পারছে না তখন কারও পরামর্শ চাইতে হয়ত ইতস্তত বোধ করছে। একটা হীনমন্যতা থাকতে পারে। তখন চাপটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে পারে। কোনটা হলে ভালো হয় সে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো।’ মুমিনুল দলকে নেতৃত্ব দিবে, কি না এ ব্যাপারে তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘এটাও সভাপতি সাহেব কিছু দিন আগে পরিস্কার করেছেন। মুমিনুলের সাথে শুধু আমরাই না, সভাপতি সাহেবও বসবেন। উনি বসেছিলেন, তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তার সাথে হয়ত আরেকটু কথা বলা বাকি আছে। উনি দেশের বাইরে বলে এই সময়ে সম্ভব হচ্ছে না। আসার পর বসবেন।’
এমপি/এমএমএ/