রাজস্থানের পূঁজি মাত্র ১৩০
টস জিতে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সানজু স্যামসন ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন বড় সংগ্রহের আশায়। কিন্তু তার আশায় পানি ঢেলে দেন হার্দিক পান্ডিয়ার বোলাররা। ২০ ওভার খেলে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে মাত্র ১৩০। এই রান করে গুজরাটের ব্যাটসম্যানদের আটকাতে হলে রাজস্থানের বোলারদের অসম্ভব রকমের ভালো বোলিং করতে হবে!
বিশ্বের সবচেয়ে বড় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের এক লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম ছিল পরিপূর্ণ। বাড়তি আকষর্ণ ছিল বলিউডের তারকাদের উপস্থিতি। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যানদের রান খরা সবাইকে হতাশ করেছে। রান ফোয়ারার ফাইনাল আর তাদের দেখা হচ্ছে না। ব্যাট জিতে টস করতে নামার পরই ধুকতে ছিল রাজস্থানের ব্যাটসম্যানরা। এমন কি আসরে দারুণ ফর্মে থাকা চার সেঞ্চুরি করা জস বাটলারও। ব্যাটসম্যানদের এই ধুকতে থাকার কারণে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান আসে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৪। যেখানে প্রথম দুই ওভারে রান ছিল মাত্র ৭।
চলতি আসরে দুর্দান্ত ফমে থাকা জস বাটলারের সঙ্গি যশস্বী জয়সোয়াল শুরুতে নড়বড়ে ছিলেন। প্রথম সাত বলে কোনো রানই করতে পারেননি। কিন্তু যখনই হাত খুলে খেলা শুরু করেছেন, তখনই আউট হয়ে যান। পরে আরো ৯ বল খেলে একটি করে চার ও ছয় মেরে ২২ রান করে। রাজস্থানে আশার প্রদীপ হলেন জস বাটলার। আসরে চার সেঞ্চুরির মালিক। কিন্তু সেই বালারও এদিন রান সংগ্রহ করতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। যে কারণে অধিনায়ক স্যামসন আসার পর নিজেই দায়িত্ব নেন রান বাড়ানোর। কিন্তু তিনিওি বেশি দূর যেতে পারেননি। ১১ বলে ১৪ রান ছিল তার পূঁজি। এই দুই জনেই আউট হন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। ১০ ওভার শেষে রান ছিল দুই উইকেটে মাত্র ৭১। রান করতে সংগ্রাম করতে থাকা বাটলারের রান ছিল এ সময় ২৯ বলে ৩৪।
সময় বাড়ছে। ওভার কমছে। কিন্তু রাজস্থানের রানের চাকা দ্রুত হচ্ছে না। স্যামসন আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসা দেবদত্ত পাড্ডিকেলের অবস্থা ছিল আরো নাজুক। প্রথম রান তিনি পান ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল মতোই আট বলে। পরে ১০ বরে দুই রান করে ফিরে যান রশিদ খানের বলে থার্ড ম্যানে মোহাম্মদ সামির হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এক প্রান্তে উইকেট পড়ছে, অপরপ্রান্তে বাটলার চেয়ে দেখছেন। আবার নিজেও রান বাড়ানোর চেষ্টা করে পারছিলেন না। শেষ পযন্ত ফিরে যান পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচে দিয়ে। তার নামের পাশে তখন রান ৩৫ বলে মাত্র ৩৯। পরবর্তিতে হেটমায়ার ( ১২ বলে ১১ রান) অশ্বিন ( ৬ বলে ২ রান) এসেও রানের চাকা সচল করতে পারেননি। এমনকি স্ট্রাইক রেট ছিল একশর নিচে। ফলে ১৫ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ১৫ ওভারে পাঁচ উইকেটে ৯৪। পরাগ, বোল্ট আর ম্যাকয় দ্রুত রান তুলার চেষ্টা করাতে শেষ পাঁচ ওভারে তারা চার উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান যোগ করাতে দলের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৩০।
রাজস্থানের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন রশিদ খান ও হার্দিক পান্ডিয়া। রশিদ খান চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। পান্ডিয়া চার ওভারে ১৭ রানে তিন উইকেট নিলেও প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে দুই উইকেট পেয়েছিলেন। ১৫ ওভার পর বল হাতে তুলে নিয়ে রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোরও দুই ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। এ ছাড়া দিয়াল তিন ওভারে ১৮ রানে এবং মোহাম্মদ সামি চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন একটি করে উইকেট।
এমপি/এএজেড