সুজনের এবারের আক্রমণে মমিনুল
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের নানা পরচিয় আছ। তিনি কখনো কোচ হিসেবে কোন ক্লাবের সঙ্গে জড়িত। কখনো কোনো ক্রিকেট একাডেমির সঙ্গে। এই সুজনের বর্তমানে সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বিসিবির নির্বাচিত পরিচালক। এই পরিচয়ে আবার কয়েকটি উপ-পরিচয় আছে। কখনো দলের ম্যানেজার,কখনো টিম ডিরেক্টর। বর্তমানে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে আছে টিম ডিরেক্টর হিসেব। দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও গ্রহণযোগ্যতার কারণেই তাকে জাতীয় দলে এই পরচিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি জাতীয়ে দলের কোনো কোনো ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা শুরু করেছেন। কয়েকদিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ টেস্ট দলে খেলা নিয়ে তিনি মোস্তাফিজকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছিলেন। এবার তার আক্রমণের শিকার হয়েছেন টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকও। আগের দিন যেখানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মুমিনুলের ব্যাপারে সংযত কথা বলেছেন। তার নেতূত্ব শঙ্কা না থাকলেও এবং ফর্ম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। যে কারণে তিনি মুমিনুলের সঙ্গে বসে কথা বলবেন বলেও জানান। কিন্তু আজ মিরপুরে খালেদ মাহমুদ সুজন মুমিনুলকে সরাসরি নেতূত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথাও সাফ বলে দিয়েছেন।
সাদা পোষাকে নতুন বছরে মুমিনুল ও দলের অবস্থা খুবই বাজে যাচ্ছে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের পর চট্টগ্রাম টেস্ট ছাড়া বাকি টেস্টগুলোতে হেরেছে খুবই বাজেভাবে। মুমিনুলের অবস্থাও একই। তিনিও মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ৮৮ রানের ইনিংস খেলার পর আর তার ব্যাট হাসেনি। র্সবশেষ গত সাত টেস্টে তিনি দুই অংকের ঘরেও যেতে পারেনি। যে কারণে মুমনিুলরে নেতৃত্ব ও ফর্ম দুইটি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছ। এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘পারর্ফম না করলে এটা মনে হওয়া স্বাভাবকি, মনে হবে অধিনায়কত্ব বোঝা হয়ে গেল কি না। ও আমাদের সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক। তার গড় ছিল ৫০ এর ওপরে। হঠাৎ করে পারর্ফম করছে না- প্রশ্ন থেকেই যায়। এটার উত্তর মুমিনুলই সবচেয়ে ভালো দিতে পারবে। ক্যাপ্টেন্সির প্রভাব থাকছে কি না এটা বড় প্রশ্ন। যদি থাকে আমরা এটা (অধিনায়কত্ব) চাই না। আমরা তার ব্যাটিংটা চাই। এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ও সময় নিয়ে সেঞ্চুরি করুক।
খালেদ মাহমুদে মুমনিুলের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলনে, ‘বাইরে থেকে দেখে কিছু সময় মনে হয়- হ্যাঁ মুমিনুল মনে হয় চাপে আছে। সেই চাপ হয়ত ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও ক্ষতি করেছে। কিন্তু সে ক্লাস প্লেয়ার। আশা করি সে কামব্যাক করবে। মুমিনুলের প্রতি পরামর্শ- বেসিকের ওপর নির্ভর করতে হবে। প্র্যাকটিসে সবই ভালো হচ্ছে, ঠিকঠাক করছে। মানসিক চাপ মাঠে যাচ্ছে কি না এটাই কথা। ম্যাচে গিয়ে ডেলিভারি হচ্ছে না। হয়ত চাপ রয়ে গেছে ব্যাটিংয়ে। একটা বলে আউট হয়েছিল- ব্যাট নামার আগেই বল ব্যাটে লেগে চলে গেছে। তার মানে ও আত্মবিশ্বাসী না। এখান থেকে একটু বোঝা যায়। তবে চাপ সামলানো সহজ না। মুমনিুল চষ্টো করছে না তাও না।’
শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হার মেনে নিলেও দলের ক্রিকেটারদের ব্যর্থতাকে মেনে নিতে পারেননি। তাদেরও তিনি একহাত নিয়েছেন। তিনি বলনে, ‘অবশ্যই ভালো হয়নি। আমাদরে কন্ডিশনে হার। ফলাফল যাই হোক, আমাদের প্রক্রিয়াও ভালো ছিল না। হার-জিত খেলার অংশ। হারতেই পারি। কিন্তু যেরকম কন্ডিশন ছিল বা যেরকম প্রতপিক্ষের সাথে খেলেছে, বলব না আমরা আমাদের মান অনুযায়ী খেলেছি।’ আবার তিনি মুশফিক, লিটনের সেঞ্চুরি আর নাঈম, সাকিবের বোলিংয়ের সাফল্যকে ইতিবাচক হিসেবে দখেলওে দলরে ব্যর্থতায় এগুলোর কোনো মূল্য নেই বলে জানান। তিনি বলেন,‘ইতিবাচক দিক আছে অনেক কিছুই। তবে ফলাফলের কথা চিন্তা করলে ভালো হয় না। ঢাকা টেস্টে দুই ইনিংসেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। দুই ইনিংসে একই রকম কেন হবে?’
এমপি/এএজেড