বাংলাদেশের নিরামিষ সেশনে শ্রীলঙ্কার লিড
ঢাকা টেস্টের পূর্বাভাস যেন বাংলাদেশের আবাহাওয়া নিয়ে পূর্বাভাসের মতোই! বাংলাদেশের আবাহাওয়া নিয়ে পূর্বাভাস যেমন অনেক সময় সঠিক হয় না তেমনি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে দেওয়া পূর্বাভাসও সঠিক হয়নি। এমনকি ধারে কাছেও নয়। ঢাকা টেস্টের পূর্বাভাস ছিল সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বোলারদের হয়ে কথা বলবে। বিশেষ করে স্পিনাররা সুবিধা পাবে। কিন্তু চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত তার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বরং সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কথা বলে উঠছে বেশি করে। বাংলাদেশের ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির পর শ্রীলঙ্কার ইনিংসেও সেঞ্চুরির পথে আছেন প্রথম টেস্টে এক রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এ ছাড়াও তাদের ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি হয়েছে আরো চারটি। আর এভাবেই পিচ ক্রমেই ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রানের সুরের ঝংকার তুলেছে। যে ঝংকারে চতুর্থ দিনের প্রথম শেসন বাংলাদেশের কেটেছে নিরামিষ। আড়াই ঘন্টার প্রথমে শেসনে কোনো উইকেটই নিতে পারেনি। এ সময় শ্রীলঙ্কা ৩৩ ওভার খেলে সংগ্রহ করে ৮৭ রান। বাংলাদেশের জন্য হতাশা শুধু উইকেট না পাওয়াতেই নয় আরো আছে। শ্রীলঙ্কা চার রানের লিড নিয়ে গেছে লাঞ্চ বিরতিতে। তাদের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৩৬৯। ম্যাথিউস ৯৩ ও দিনেশ চান্দিমাল ৬৩ রানে অপরাজিত।
বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের খেলা ১৭৯ মিনিট নষ্ট হওয়াতে সেই সময় পুষিয়ে নেয়ার জন্য চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের খেলা আধা ঘন্টা আগে সকাল সাড়ে ৯টায় শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আড়াই ঘণ্টার সেশন পেয়েও বাংলাদেশের বোলাররা কোনো কিছুই করতে পারেনি। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে শ্রীলঙ্কা লিড নেওয়াতে বাংলাদেশ এখন উল্টো চাপে পড়ার মুখে আছে। কারণ দিনের বাকি দুই সেশনে শ্রীলঙ্কা হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে সেই লিড আরো অনেক বাড়িয়ে নেবে। লিড যতোই বেশি হবে বাংলাদেশের জন্য চাপ ততোই বাড়বে। যদি লঙ্কানদের অলআউট করা না যায় তাহলে আজ দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে তারা ইনিংসও ঘোষণা করতে পারে। তখন কোনো কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশর ব্যাটিং ধস হলে হারের মুখে পতিত হবে। বাংলাদেশের অতীত পরিসংখ্যান বলে দ্বিতীয় ইনিংসে বা পঞ্চম দিন ব্যাটিং ধসের দৃষ্টান্ত আছে অনেক!
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের জন্য আনন্দ করার উপলক্ষ এসেছিল মাত্র একবারই। পানি পানের বিরতির পর মুমিনুল প্রথমে বল হাতে তুলে নেন ১১৬ নাম্বার ওভারে। সেই ওভারের চতুর্থ বলেই তিনি দিনেশ চান্দিমালকে আউট করেন ৪৩ রানে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেছিলেন লিটন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। পরে চান্দিমাল ১১৮ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারে ২২তম ফিফটি। লঙ্কানদের ইনিংসে এটি ছিল পঞ্চম ফিফটি। অপরদিকে প্রথম টেস্টে ১৯৯ রান করা ম্যাথিউস ধীরে ধীরে পৌঁছে গেছেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি। ৫৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে তিনি অপরাজিত ৯৩ রানে। আজ তিনি যোগ করেন ৩৬ রান। তাদের জুটিতে রান যোগ হয়েছে ১০৩। শ্রীলঙ্কা লিড পায় ইনিংসের ১২৮.৩ নম্বার ওভারে। তাইজুলের বলে ম্যাথিউস মিড অফে খেলে এক রান নিয়ে দলকে এই লিড এনে দিয়েছিলেন।
এসআইএইচ