নিউ জিল্যান্ডে করোনামুক্ত বাংলাদেশ দল
ফাইল ছবি
সব শঙ্কার মেঘ কেটেছে। দূর হয়েছে অনিশ্চিয়তা। এবার ডানা মেলে উড়তে পারবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বিচরণ করবে অবাধে। শেষ কোভিড পরীক্ষার ফল সবার এসেছে নেগেটিভ। এতে করে ক্রিকেটাররাও হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। আগামীকাল থেকেই সবাই একত্রে অনুশীলন শুরু করতে পারবেন। শুধু করোনায় আক্রান্ত স্পিন বোালিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশের এই সুখবর এসেছে আজ সাত সকালেই। বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩২ মিনিটে বিসিবির মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট থেকে পাঠানো হয় এক ভিডিও বার্তায়। যে বার্তাটি এসেছে মূলত নিউ জিল্যান্ড থেকে দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের পক্ষ থেকে।
ভিডিও বার্তায় সুজন বলেছেন, ‘গতকাল (১৯ ডিসেম্বর) আমাদের একটি কোভিড টেস্ট ছিল এখানে। আজ সকালে রেজাল্ট এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সবাই নেগেটিভ। এই নেগেটিভ হওয়ার কারণে আমরা এখান (কোয়ারেন্টিন) থেকে আগামীকাল বের হতে পারব এবং অনুশীলনে যেতে পারব।’
নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশ দল গিয়েছিল ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১ ডিসেম্বর। এত আগে যাওয়ার কারণ কোয়ারেন্টিনসহ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। নিউ জিল্যান্ডে সাধারণত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়; কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দল ছাড় পেয়েছিল ৭ দিনের। এটি দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড মিলে সমঝোতা করেছিলেন; কিন্তু রঙ্গনা হেরাথ করোনায়া আক্রান্ত হওয়ার আগেই বিমানে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। পরে হেরাথের করোনা ধরা পড়ে। এতে করে সব কিছু পাল্টে যায়। সিরিজ নিয়েই অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। সব কিছু নির্ভর করছিল সবার তৃতীয় করোনা টেস্টের ফলাফলের উপর। সেটি সবার নেগেটিভ আসাতে এখন শুধু খেলার পালা।
ভিডিও বার্তায় খালেদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘ কাল আমাদের সোয়া ১০টা ( নিউ জিল্যান্ড সময়) থেকে অনুশীলন শুরু লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে। সেখানে আমরা জিমের সুযোগ পাব। ওখানে অনুশীলন শেষে আমরা হোটেলে উঠে যাব।’
বাংলাদেশ দল আগামীকাল থেকেই অনুশীলন শুরু করলেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথকে পাওয়া যাবে না। কারণ বর্তমানে তিনি আছেন নিউ জিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে। হোটেল থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিউ জিল্যান্ডের কোভিড সেন্টারে।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘ এরপর আমরা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারব। ট্রেনিং করতে পারব। সবই করতে পারব। নিজেদের তৈরি করতে পারব প্রথম টেস্ট ম্যাচের জন্য।’
দলের সবাই যাতে সুস্থ থাকেন। ভালো খেলতে পারেন, সে জন্য খালেদ মাহমুদ দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন ভিডিও বার্তায়। তিনি বলেন, ‘ দেশবাসীর কাছে প্রত্যাশা, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমরা যেন এখানে সুস্থ থাকি এবং ভালো একটি সিরিজ খেলতে পারি।’
এমপি/এসএ/