নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরি, রনির ৫ উইকেট
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের দুইটি ভেন্যুতে দুই রকম চিত্র ছিল। ঢাকায় ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ও ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের ম্যাচে ছিল বোলারদের দাপট। যেখানে রাজত্ব করেছেন ওয়ালটনের বোলারা। আবু হায়দার রনির ৫ উইকেটর সুবাদে পূর্বাঞ্চল মাত্র ২৪৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। চট্টগ্রামে বিসিবি উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচে ছিল ব্যাটারদের দাপট। এখানে দাপট দেখিয়েছেন উত্তরাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। নাঈম ইসলামের অপরাজিত ১২৬ রানে ভর করে উত্তরাঞ্চল আছে বড় ইনিংস গড়ার পথে। তাদের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪৬।
মিরপুরে মধ্যাঞ্চলের দলপতি শুভাগত হোম টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার এ সিদ্ধান্তকে সফল করে তুলেন দলের বোলাররা। অগ্রনী ভূমিকা রাখেন বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনি। তার সঙ্গে হাত মেলান হাসান মুরাদ ও রবিউল হক। বোলাররা রাজত্ব দেখালেও পূর্বাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে কিন্তু ধ্বস নামেনি। আবার একমাত্র শাহদাত হোসেন দিপু ছাড়া আর কেউ সেভাবে বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। নাঈম হাসান, ইমরুল কায়েস, প্রীতম কুমার, নাদিফ চৌধুরী, তানভীর ইসলামের অবদান ছিল ছোট ছোট।
শুরুতে আঘাত হানেন রবিউল। তিনি শুরুতেই মোহাম্মদ আশরাফুলকে কোনো রান করার সুযোগ না দিয়ে এবং ইমরুল কায়েসকে ৩১ রানে ফিরিয়ে দেন। এরপর আবু হায়দার রনি ও হাসান মুরাদ মিলে বাকি ৮ উইকেট তুলে নেন। শাহদাত বোলারদের তোপ সামলে খেলেন ৭২ রানের ইনিংস। ৯৯ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। আবু হায়দার ২০.৫ ওভার বোলিং করে ৯৩ রানে নেন ৫ উইকেট। হাসান মুরাদ ৩ উইকেট নিতে খরচে করেন ৪৭ রান। রবিউল ২৯ রানে নেন ২ উইকেট।
দিনের শেষের দিকে ব্যাট করতে নেমে মাত্র এক ওভার খেলার সুযোগ পেয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪ রান করে মধ্যাঞ্চল।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দক্ষিণাঞ্চলের দলপতি ফরহাদ রেজা টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যায়। আর এই কাজটি করেন নাঈম ইসলাম। সহযোগিতা করেন মার্শাল আইয়ুব ও মাহিদুল ইসলাম। তবে শুরুতে কিন্তু ফরহাদ রেজার সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছিল সঠিক ছিল। কারণ ২৪ রানে ফিরে গিয়েছিলেন উত্তরাঞ্চলের তিন ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনার তানজিদ ও পারভেজ হোসেন কোনো রান না করেই এবং তিনে নামা জুনায়েদ সিদ্দিক ১৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। দুই ওপেনারকে মাহিদুল ইসলাম ও এবং জুনায়েদকে নাসুম আহমেদ ফিরিয়ে দেন। কিন্তু শুরুর এই সুখ বেশি সময় স্থায়ী হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের শিবিরে।
নাঈম ইসালাম প্রথমে মার্শাল আইয়ুব ও পরে নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে দলের ভীত মজবুত করে তুলেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তিনি ও মার্শাল আইয়ুব ৯০ রান যোগ করেন। হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে মার্শাল আইয়ুবকে ৪৭ রানে ফিরিয়ে দিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নেন মেহেদী হাসান। এরপর আরো বিপযর্য় নেমে আসে দক্ষিণাঞ্চলের শিবিরে।
নাঈম ও মাহিদুল মিলে পরে আর কোনো উইকেটই পড়তে দেননি। ১৩২ রান করে তারা অবিচ্ছিন্ন আছেন। নাঈম ১৪১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর সেঞ্চুরি করেন ২৫১ বলে। মাহিদুল ১২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। নাঈম ১২৬ ও নাহিদুল ৫৩ রান নিয়ে আগামীকাল আবার ব্যাট করতে নামবেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল বনাম বিসিবি উত্তরাঞ্চল:
বিসিবি উত্তরাঞ্চল: ২৪৬/৪, ওভার ৯২ ( নাঈম ইসলাম ১২৬*, মার্শাল আইয়ুব ৪৭, নাহিদুল ইসলাম ৫৩* জুনায়েদ সিদ্দিক ১৫, মাহিদুল ইসলাম ২/৩১, মেহেদী হাসান ১/৪৭, নাসুম আহমেদ ১/ ৭২)।
ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল বনাম ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল :
ইসলামী ব্যাংক উত্তরাঞ্চল: ২৪৫/১০, ওভার ৮৭.৫ ( শাহদাত দিপু ৭২, নাঈম হাসান ৪০*, ইমরুল কায়েস ৩২, প্রীতম কুমার ৩০, নাদিফ চৌধুরী ২৬, তানভীর ইসলাম ২০, আবু হায়দার রনি ৫/৯৩, হাসান মুরাদ ৩/৪৭, রবিউল হক ২/২৯)।
ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল: ৪/০,ওভার ১ ( মিজানুর রহমান ২* মোহাম্দ মিঠুন ২*
এমপি/এসআইএইচ