পাঁচ গোলের রোমাঞ্চে বার্সার জয়
সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না লা লিগার দর্শকপ্রিয় ক্লাব বার্সেলোনার। একদিকে মেসিসহ তারকা ফুটবলারদের ছাড়া দল। সঙ্গে ইনজুরি সমস্যা। দুইয়ে মিলে ত্রাহী ত্রাহী অবস্থা। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্বেই। লা লিগায়ও নেই শিরোপার লড়াইয়ে। মযার্দা হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে এল ক্লাসিকোও।
বার্সেলোনার অবস্থা এমন হয়েছে, যেকোনো দলই এখন তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়। এ যেমন শনিবার দিবাগত রাতে লা লিগার নিচুর সারির দল এলচে। তারাও বাসার কাছ ছেকে পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কোনো রকমে বেঁচে গেছে নতুন করে কোচের দায়িত্ব পাওয়া সাবেক ফুটবলার জাবি হার্নান্দেজের দলটি। জিতেছে ৩-২ গোলে। সব প্রতিযোগিতা মিলে বার্সেলোনার এটি ছিল ৩ ম্যাচ পর জয়।
ন্যু ক্যাম্পে প্রথমে দুই গোল দিয়েও খেলায় সমতা নিয়ে আসে এলচে। শেষ দিকের গোলে রক্ষা পায় বার্সা। ১৭ ম্যাচে বার্সার জয় ৭টি। ৬ ড্রতে পয়েন্ট ২৭। অবস্থান সাতে। ১৮ ম্যাচে এলচের পয়েন্ট ১৫। তারা আছে ১৬ নম্বরে।
দুই দলের ম্যাচে একটা জায়গায় দারুণ মিল ছিল। বার্সেলোনা ২ গোল করে তিন মিনিটের ব্যবধানে। এলচে ২ গোল পরিশোধ করে এক মিনিটের ব্যবধানে। ১৬ মিনিটে ওসমান দেম্বেলের হেড থেকে লাফিয়ে উঠে হেড করে গোল করেন ফেররান ব্ল্যাঙ্ক। ১৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে এলচের দুই ডেফেন্ডারকে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করেন ১৭ বছর বয়সী গাভি।
দুই গোল করে ম্যাচে বার্সা দাপট ধরে রাখে। সেই দাপট ছিল দ্বিতীয়ার্ধেও। কিন্তু হঠাৎ করে এলচে ম্যাচে ফিরে চমক দেখায়। ৬২ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে নিশানা ভেদ করে ব্যবধান কমান (১-২) মারেন্ডে। পরের মিনিটে তার কাছ থেকেই বল পেয়ে হেড করে ম্যাচে সমতা নিয়ে আসেন মিইয়া।
হঠাৎ করে ম্যাচে এভাবে সমতা চলে আসায় সবার মনে শঙ্কা জেগে উঠে আবারও বার্সা পয়েন্ট হারাতে চলেছে। কিন্তু এবার তাদের জন্য ত্রাতা হয়ে ওঠেন লা মাসিয়ার তরুণ আর্জেন্টিনার নিকো গঞ্জালেস। ৮৫ মিনিটে গাভির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত এ গোলই খেলার ব্যবধান গড়ে দেয়।
এমপি/এসএন