সুবর্ণজয়ন্তীর স্বাধীনতা কাপ আবাহনীর
১৬ ডিসেম্বর গোটা দেশ মহাসমারোহে উদযাপন করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আয়োজনে কোনো ঘাটতি ছিলো না। সেই সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতা কাপ জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। তবে স্বাধীনতা কাপের এটি ৫০তম আসর ছিল না। অনিয়মিত আয়োজন হয়ে থাকে। এবারের আয়োজন ছিল মাত্র ১১তম। প্রাধান্য বিস্তা করে খেলে আবাহনী জয় পেয়েছে ৩-০ গোলে। প্রথমার্ধের খেল ছিল গোলশুন্য। আবাহনীর হয়ে ব্রাজিরিয়ান গোমেজ ২টি ও রকিব গোল করেন। আবাহনীর এই শিরোপা ছিল ৩১ বছর পর। সর্বশেষ তারা শিরোপা জিতেছিল ১৯৯০ সালে। এরপর তারা দুইবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি। এদিকে ঘরোয়া আসরে আবাহনীর এই শিরোপা ছিল ২০১৮ সালের পর। সেবার তারা এই বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েই শিরোপা জিতেছিল ফেডারেশন কাপ।
এক সময় ঢাকার ফুটবলে আবাহনী-মোহামেডানের লড়াই ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। সেই উত্তেজনা এখন আর নেই। বুড়িগঙ্গায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন সেখানে নতুন করে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকার ফুটবলের নতুন শক্তি বসুন্ধরা কিংস। প্রতিপক্ষ আবাহনী। ঘরোয়া ফুটবলের যে কোনো আসরে এই দুই দলই মুলত শিরোপা লড়াইয়ে অবতীর্ন হয়। মাঠে থাকে উত্তেজনা। কখনো রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ। কখনো দুই দলের খেলোয়াড়দের বাদানুবাদ। আজকের ম্যাচেও ছিল সে রকম উত্তেজনা। আবাহনীর পক্ষে পেনাল্টিরপ প্রতিবাদে বুসন্ধরার খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানান। কেউ কেউ রেফারিকে ধাক্বাও মারেন। এই দিন দুই দলের ফাইনাল দেখার জন্য দর্শক উপস্থিতিও ছিলে চোখে পড়ার মতো। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামার স্টেডিয়াম ছিল দর্শক পরিপুর্ণ।
প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করে কোনো গোল করতে পারেনি। ৫৩ মিনিটে রকিবের দর্শনীয় গোলে আাবাহনীর গোলের সুচনা হয়। রাফায়েল অগাস্টিনের নিখুত পাস থেকে রকিব দুই ডিফেন্ডারকে গতিতে পরাস্ত করে গোলরক্ষক জিকোকে ডান দিক দিয়ে পরাস্ত করে আকাশি-হলুদ জর্সির সমর্থকদের উল্লাসে মাতিয়ে তুলেন। এবারের আসরে রকিবের এটি ছিল প্রথম গোল। আবহনী দ্বিতীয় গোল করে পেনাল্টি থেকে। ৬১ মিনিটে বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে বক্সে ডুকে পড়া কলিনদ্রেসকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করেন রিমন। রেফারি বাঁশি বাজান পেনাল্টির। এ নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানালেও কোনো কাজ হয়নি। স্পট কিকে ব্যবধান ২-০ করেন গোমেজ। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আবাহনী বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড় করার পর ৭২ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন গোমেজই। রাফায়েল অগাস্টিনের কর্ণার থেকে মিলাদের মাথা হয়ে বল পেয়ে যান ছোট বক্সের ভেতর গোমেজ। বল পেয়ে জোড়ালো শটে জাল কাঁপান তিনি।
এমপি/জেডএকে