কোরিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে বাংলাদেশের হার
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি আসরে খেলছে এশিয়ার সব সেরা দল। সেখানে বাংলাদেশ নিতান্তই শিশু। এ রকম শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে আসর শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের চাওয়া-পাওয়া কিছু ছিল না। যতোটা সম্ভব ভালো খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন। সেখানে কোরিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সমান তালে লড়ে ২-৩ গোলে হেরেছে। অবশ্য হারলেও প্রথম গোলটি ছিল বাংলাদেশের। আসরে বাংলাদেশের এটি ছিল দুই ম্যাচে দ্বিতীয় হার। এদিকে তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল কোরিয়া।
আসর শুরু হওয়ার পূর্বে পর্যন্ত অনুশীলনও করতে পারেনি বাংলাদেশ। এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে কোরিয়ার মতো দলের বিপক্ষে প্রথম গোল দিয়ে এগিয়ে যাওয়া, তারপর সমান তালে লড়া-
এসব ছিল অনেক বড় প্রাপ্তি। প্রথম গোল দিয়ে তা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি আশরাফুল ইসলাম রানারা। কিন্তু সমতায় আসার পর তা বজায় ছিল ম্যাচের ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। গোল দেয়ার পর বাংলাদেশ আর সে রকম কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও রক্ষণের দৃঢ়তায় কোরিয়াকে গোল করা থেকে বঞ্চিত রাখতে পেরেছিল।
চার কোয়ার্টারের খেলায় প্রথম ও শেষ কোয়ার্টারে হয়েছে সব কয়টি গোল। প্রথম কোয়ার্টারের
৮তম মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মাঝ মাঠের কাাছাকাছি থেকে ফজলে রাব্বির পাস বক্সের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা আরশাদ হোসেন ফ্লিক করে বল জালে ঠেলে দেন। এ সময় কোরিয়ার একজন খেলোয়াড় বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। গোল হজম করার পর কোরিয়ার পরিশোধের জন্য আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয়। সেখান থেকে তারা গোল পেতে খুব বেশি সময় নেয়নি। ৯তম মিনিটে কোরিয়ার পেনাল্টি কর্ণার ঠেকিয়ে দেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা গেলরক্ষক বিপ্লব। ১৫তম মিনিটে কোরিয়া পেয়ে যায় গোলের দেখা। বক্সে কোরিয়ার একজন খেলোয়াড় ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি স্ট্রোক পায়। সেখান থেকে গোল করেন জেং জিং ইয়ুন।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ৪ ও ম্যাচের ১৯তম মিনিটে বাংলাদেশ পায় প্রথম পিসি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। তৃতীয় কোয়র্টারের ৬ ও ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে কোরিয়া তাদের দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্ণার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।
শেষ কোয়ার্টারে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে কোরিয়ানরা। এই কোয়াটার্রের ৩ ও ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে তারা সফলও হয়। ফিল্ড গোল করে দলকে এগিয়ে নেন জি উও চিওন। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে কোরিয়া ৩-১ ব্যবধান করে ৫৪তম মিনিটে। ফিল্ড গোল করেন পার্ক চিওলিয়ন।
১-৩ গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ হঠাৎ করেই ঘুরে দাঁড়ায়। কোরিয়ার সীমনায় আক্রমণ গড়ে তুলে। তা থেকে ৫৮ মিনিটে একটি গোল পরিশোধও করে। জটলা থেকে ব্যবধান ২-৩ করেন দ্বীন ইসলাম ইমন। এ সময় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের স্টিকে বল গেলেই মাঠে উপস্থিত স্বল্প সংখ্যক দর্শক গোল গোল বলে চিৎকার দিয়ে উঠেন। এরই মাঝে খেলার যবনিকা ঘটে।
খেলা শেষে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ম্যাচের সেরা গোলরক্ষক বিপ্লব নিজেদের খেলার এ রকম উন্নতির কথা বলতে গিয়ে জানান, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে কোচ তাদের কোরিয়ার খেলার অনেক ভিডিও দেখান। সেখানে তারা কোরিয়ার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করেন। এতেই তারা কোরিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলতে পেরেছেন।
এমপি/এসআইএইচ